মূলাষষ্ঠীর পুজোর মূল ভোগ এই লেউড়ি। তাই সকল পুজো দিতে আসা ভক্তরা প্রথমে লেউড়ি কিনেন । তারপর পুজো দিতে যান। প্রাচীন কাল থেকেই এই রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে এখানে। মেলায় ঘুরতে আসা সাধারণ দর্শকেরাও এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যায়। বিক্রেতা সঞ্জয় দত্ত বলেন, আর কোথাও পাবেন না এই মিষ্টি। একমাত্র এখানেই বিক্রি হয়। সাধারণ দিনেও আপনি খুঁজে পাবেন না। শুধুমাত্র চিনি দিয়ে তৈরি হয়, লেউড়ি।
advertisement
আরও পড়ুনHibiscus Tea: এক চুমুকেই শরীর থেকে দৌড়ে পালাবে কঠিন রোগ! জবার গুণ মিশে চা হচ্ছে সুপারফুড
ব্যাপক বিক্রি হয় এই মেলার লেউড়ির।এই বছর ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লেউড়ি। চাহিদাও ছিল ব্যাপক। শুধু মাত্র চিনি দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। চিনির পাক তৈরি করা হয়। আগুনে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা দেওয়ার পর চিনি গলে পাক তৈরি হয়। সেই পাক কেটে কেটে ছোট ছোট মিষ্টি তৈরি হয়। এই মিষ্টি দেখতে চকচকে হয়।
এক সময় পুরাতন মালদহের অনেক কারিগর ছিলেন। যারা এই মিষ্টি তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু এখন কারিগরের সংখ্যা কমে এসেছে। বর্তমানের কারিগরেরা আর ভাল তৈরি করতে পারেন না। এক মিষ্টি বিক্রেতা বলেন যে তারা এই মিষ্টি তৈরি করতে পারেন না। পুরাতন মালদহে একজন কারিগর রয়েছেন যিনি ভাল তৈরি করেন। আমরা তাঁর থেকেই কিনে এনে বিক্রি করছি। তবে সবসময় বিক্রি হয় না। এই মেলাতেই বিক্রি হয়।পুরাতন মালদহের মূলাষষ্ঠীর মেলায় এই মিষ্টির চাহিদা থাকার মূল কারণ পুজোর প্রধান ভোগ এই মিষ্টি। তবে মেলায় আসা প্রত্যেকেই এই মিষ্টির টানে মেলায় আসেন।
হরষিত সিংহ