শীতের দিনে মেলে রাই শাক।বছরের অন্যান্য সময় এই শাক পাওয়া যায় না বললেই চলে। রাই শাকের ঝোল, রাই শাক ভাজা শীতের দিনে বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন নেপালিরা।এমনকি বাড়িতে খালি জমি থাকলে সেখানেও শীতকালে রাই শাক চাষ করে থাকেন তারা। আদিবাসী মহল্লায় গেলেও দেখা যায় রাই শাকের চাষ। এই আদিবাসী মহল্লায় প্রবেশ করলে দেখা যায় শীতের দুপুরে রাই শাকের পাতা শুকোতে।
advertisement
আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!
রাই শাকের পাতা পুরো শুকিয়ে গেলে তারা এটিকে ব্যবহার করেন রান্নার কাজে। এই শুকিয়ে যাওয়া রাই শাক দিয়ে তৈরি হয় গন্দ্রুক।এই বিষয়ে অমল মুন্ডা নামের এক যুবক জানান, “গন্দ্রুকের সবজি, চাটনি আমাদের আদিবাসীদের অন্যতম প্রিয় খাবার। অন্যান্য শাক শুকিয়ে তৈরি করা যায় এই খাবার। তবে আমরা রাই শাক বেশি ব্যবহার করি। স্বাদ ভাল হয়।পাশাপাশি সর্দি,কাশির থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।”
আলু, লঙ্কা, পেয়াঁজ, সজনে ডাটা, ধনে পাতা ও রাই শাকের শুকনো পাতা জোগাড় করে নিতে হবে। আলু ও সজনে কেটে নিতে হবে। আলু যাতে চিকন করে কাটা হয়।পেয়াঁজ ও লঙ্কা কুচিয়ে নিতে হবে।এরপরেই কড়াই গরম হয়ে এলে সর্ষের তেল গরম করতে হবে।ফোড়ন হিসেবে পাঁচফোড়ন দেওয়া যায়।চাইলে জিড়ে দেওয়া যায়।আলু ভাজতে দিতে হবে।এরপর সজনে ডাটা, পেঁয়াজ ও শুকনো রাই শাক কড়াইয়ে দিয়ে দিতে হবে।হলুদ ,লবণ লঙ্কা বেটে দিতে হবে।জল যোগ করে কষে নিতে হবে।শেষে যোগ করতে হবে ধনে পাতা কুচি।গন্দ্রুকের পাঁচমিশালি সবজির স্বাদ অনবদ্য।
Annanya Dey