খাদ্য সংরক্ষণের সব থেকে প্রাচীন পদ্ধতি হল প্রখর সূর্যের তাপে বা বাতাসে সংরক্ষণ করা। এই পদ্ধতিতে মাছের ভিতরের জলীয় অংশ অপসারণ করা হয়। ফলে মাছের মধ্যে থাকা ছোট ছোট অণুজীব মরে যায়। ফলে মাছ শুকনো হয়ে ওঠে। এই পদ্ধতিতে মাছ শুকনো করার খরচ সব থেকে কম। শুকনো মাছগুলি প্রায় ১ বছর পর্যন্ত ভাল থাকে। প্রতি ৩ থেকে ৪কেজি মাছ শুকনো করার পর ১ কেজি শুঁটকি মাছ মেলে।
advertisement
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি শিম খাওয়া যায়? শিম খেলে কতটা বাড়বে ডায়াবেটিস? সুস্থ থাকতে জেনে নিন এখনই
মূলত উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন ও প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকজন এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। মাছ সংগ্রহ করার পর মাছগুলিকে ভালভাবে ধোওয়া হয়। এর পর অনেকসময় মাছে লবণজল দেওয়া হয়। এই লবণজল জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে।
এর পর সেই মাছগুলি থেকে জল ঝরিয়ে ফেলার জন্য বাঁশের মাচাতে রাখা হয়। এর পর সেখানে সূর্যালোকে শুকনো করা হয়। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই কাজ করা হয়। এই শুঁটকি মাছ বাজারে মাছের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে। ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ এখনও এই শুঁটকি মাছ খাদ্যতালিকায় রাখেন।