এর পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। সেগুলি স্পষ্ট করেছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। করোনা কাল থেকে অনেক নিয়মাবলী আনা হয়েছে তারাপীঠে আগত যুগলদের বিবাহের ক্ষেত্রে। তার কারণ সরকারি নির্দেশে বিবাহবন্ধন যেন অটুট থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। যাঁরা দম্পতি হচ্ছেন, তাঁরা সারা জীবন যাতে সুখে সংসার করতে পারেন সেই বিষয়েও নজর রাখা হয়। যে কারণে প্রথমে পরিচয়পত্র দেখা হয় পাত্রপাত্রীর। তার পর খবর দেওয়া হয় দু’ পক্ষের পরিবারকে। নাবলক বা নাবিলকা যদি হয়, সেই ক্ষেত্রে বিয়ে দেওয়া হয় না তারাপীঠ মন্দিরে। কারণ এটিআইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া অসাধু ব্যক্তিবর্গ অনেক সময় পাত্রীকে নেশাসক্ত করিয়ে বিবাহ করাতে চলে আসে। সেক্ষেত্র কোনও অসঙ্গতি লক্ষ করলে মন্দির কমিটি তৎক্ষণাৎ পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি জানান।
advertisement
এছাড়াও তারাপীঠের অনেক হোটেলে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও প্রেমিক প্রেমিকাদের রুম দেওয়া হয় না। তার জন্য অনেকে মন্দিরে ভুয়ো বিয়ে করে ছবি তুলে রুম নিয়ে থাকে.। এ বিষয়েও নজর রাখতে হয়। এছাড়া মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে বিবাহ দেওয়া হয় না। ২-১ বছর ধরে এই নিয়মাবলী চালু করা হয়েছে। প্রথমত, তারাপীঠ মন্দিরের ভিতরে বিয়ে হয় না। তার বাইরে অবস্থিত ছোট মন্দিরগুলিতে বিয়ে হয়, যেমন ষষ্ঠীমন্দির,শিব মন্দির এই সমস্ত মন্দিরে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে কখন বিয়ে করল, সব সময় তো নজর রাখা সম্ভব হয় না। তবে যাঁরা পুরোহিত ডেকে বিয়ে করার কথা ভাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা একটা নিয়ম মেনে চলি। তবে মন্দির বারান্দায় বন্ধু বান্ধব নিয়ে হইহুল্লোড় করে অনেকে বিয়ে সেরে নেন। এমনও ঘটনা নজরে আসে।’’
তবে সব মিলিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করতে গেলে মানতে হবে নিয়ম পাত্র-পাত্রীকে । সঙ্গে থাকতে হবে সঠিক পরিচয়পত্র। পাত্রীকে থাকতে হবে শারীরিক ভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক। সন্দেহ হলে আটকে যাবে বিয়ে। এমনকি, যেতে হতে পারে শ্রীঘরেও।