এই ‘নাইট জার্নি’র পিছনে রয়েছে এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক ঘটনা। একবার কোচবিহারের রাজকুমারী ও জয়পুরের মহারানী গায়ত্রী দেবী দার্জিলিংয়ের এক ব্রিটিশ আমলার আমন্ত্রণে রাতের অন্ধকারে টয়ট্রেনে চড়ে পৌঁছেছিলেন হিমালয়ের কোলে। সেই রাজকীয় সফর থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই নতুন ট্রেনটির নামকরণ ‘The Queen’s Escapade’ বা ‘দ্য ক্যুইন এসকেপ’।
advertisement
ইতিমধ্যেই এই পরিকল্পনায় আগ্রহ দেখিয়েছে রেল বোর্ড। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর রিশভ চৌধুরী জানিয়েছেন, “সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বিশেষ ট্রেন চলবে পুজোর পর কিংবা নতুন বছরের আগে। পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে এক নতুন অভিজ্ঞতার দিগন্ত।” শুধু রাতের যাত্রা নয়, পাশাপাশি চার্টার্ড সার্ভিস চালুরও ভাবনা চলছে। অর্থাৎ পর্যটক বা ভ্রমণপ্রেমীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে বুক করতে পারবেন এই রাজকীয় ট্রেন।
ইউনেস্কো ঘোষিত হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দিনে ট্রেন চলার পাশাপাশি রাতের এই সফর একদিকে যেমন ইতিহাসকে স্পর্শ করবে, তেমনই দেবে এক চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। দেখার বিষয়, রাজকীয় ঐতিহ্যের ছায়া বয়ে আনা এই উদ্যোগ কবে বাস্তবে রূপ নেয়। তবে রেল কর্তারা আশাবাদী, এই শীতকালেই দার্জিলিংয়ের রাত আলোকিত করবে ‘দ্য কুইন এসকেপ’।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য