অবশ্য এই পদটি নিয়ে অনেকেই নানান এক্সপিরিমেন্ট করতে থাকেন।তবে আধুনিক ও সাবেক,যেভাবেই তৈরি হক না কেন স্বাদ এবং গন্ধে এই পদ রসনাতৃপ্ত করবে আপামর বাঙালির পেট ও মনকে।শুধু বাঙালি নয়,অবাঙালিদের কাছেও জনপ্রিয় এই পদটি।এই পদটির নাম বেগুনের ভর্তা। এটি অতি পরিচিত একটি খাবার। গরম ভাতের সাথে বেগুন ভর্তার স্বাদের কথা জানতে চাইলে অনেকেই বলবেন, এটা অসাধারণ বা এর তুলনাই হয় না। বিশেষত ভর্তা প্রেমীরা ভর্তা দিয়েই প্লেট ভর্তি ভাত নিমিষেই শেষ করে ফেলেন।
advertisement
আরও পড়ুন Fuchka Papri is Bad for Health: আলু বা টক জল নয়, ফুচকার পাপড়ি কেন শরীরের জন্য বিষ, জানুন
এটা এমনই এক ভর্তা যে, খেয়ে মন ভরেনা। ইচ্ছে করে আরও খেতে তা পেটে জায়গা থাকুক বা না থাকুক। তবে একেকজন একেকভাবে ভর্তা তৈরি করে থাকেন। যেমন সিদ্ধ, ভাজা, পোড়ানো ইত্যাদি। সবগুলি মজার তবে পোড়া বেগুন ভর্তার আলাদা একটা কদর আছে।
বিশেষ করে গ্রামের বাসিন্দারা এই বেগুন ভর্তা অন্যভাবে তৈরি করে থাকেন।কিভাবে?জেনে নিন পদ্ধতি।গোবর দিয়ে ঘুঁটে তৈরি করে রাখা হয়।এরপর বিকেলে সেটিকে পোড়ানো হয়।ঘুঁটে পুড়তে শুরু করলেই বেগুন বসিয়ে দিতে হয়।মোটা বা পাতলা দুই ধরনের বেগুনের পোড়া হয়।বেগুন ভাল করে পুড়ে গেলে সরিয়ে নিতে হয়।এরপর সেখানে রসুন,লঙ্কা পুড়িয়ে নিতে হয়।চাইলে টমেটো ব্যবহার করা যেতে পারে।এবিষয়ে অমল মুন্ডা নামের এক যুবক জানান,”ঘুঁটে দিয়ে বেগুন পোড়ালে খুব কম সময়ে রেসিপি তৈরি সম্ভব হয়।সব সবজি পুড়িয়ে তারপর বেগুন পোড়া মাখলে তার স্বাদ দ্বিগুণ হয়।”
ভাল করে সব পুড়ে গেলে বেগুনের পোড়া চামড়া ছুলে একটি পাত্রে রেখে দিতে হয়।এরপর চাকু দিয়ে লঙ্কা,পেঁয়াজ,রসুন,ধনিয়া পাতা কেটে নিতে হবে। বেগুন রাখা পাত্রে সেগুলি ঢেলে দিতে হবে।এবারে সরষের তেল,লবণ দিয়ে সবকিছু মেখে নিতে হবে।মাখা যেন ভালভাবে মিশে যায় খেয়াল রাখতে হবে।তবেই মিলবে বেগুন ভর্তার আসল স্বাদ।
Annanya Dey