পথের ধারে সারি সারি ঘর-বাড়ি-মন্দির আজ শূন্য! সাজানো অথচ জনহীন গ্রাম যেন হাঁ করে গ্রাস করতে আসছে! কারণ জানলে থ’ হয়ে যাবেন

Last Updated:
Deserted Village:কী এমন ঘটেছিল এই গ্রামে, যার জন্য গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হলেন গ্রামের সকল পরিবার। জানলে হয়ত চমকে যাবেন সকলেই!
1/5
মন্দির আছে, কিন্তু মন্দিরে বিগ্রহ নেই! বাড়ি আছে, অথচ সেখানে কোনও মানুষের দেখা মেলে না। এ যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের অন্তর্গত খেড়ুয়া গ্রাম একসময় জমজমাট ছিল, কিন্তু আজ তা সম্পূর্ণ জনশূন্য। যেখানে এককালে হাজারেরও বেশি পরিবার থাকতেন, আজ সেখানে কেবল স্মৃতি আর নিঃসঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিছুই নেই। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
মন্দির আছে, কিন্তু মন্দিরে বিগ্রহ নেই! বাড়ি আছে, অথচ সেখানে কোনও মানুষের দেখা মেলে না। এ যেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের অন্তর্গত খেড়ুয়া গ্রাম একসময় জমজমাট ছিল, কিন্তু আজ তা সম্পূর্ণ জনশূন্য। যেখানে এককালে হাজারেরও বেশি পরিবার থাকতেন, আজ সেখানে কেবল স্মৃতি আর নিঃসঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কিছুই নেই। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
2/5
পুরনো খেড়ুয়া গ্রাম একসময় ছিল ছবির মতো সুন্দর। বড় খেলার মাঠ, বিদ্যালয়, পুকুর, মন্দির আর চাষের জমিতে ভরা গ্রামটি নানা উৎসবে প্রাণ পেত। দুর্গাপুজো, দোল সবকিছুতেই মেতে উঠতেন গ্রামবাসীরা। গ্রামজুড়ে ছিল ঐতিহ্য আর আনন্দের ছোঁয়া। কিন্তু সেই সবকিছুই আজ শুধুই অতীত।
পুরনো খেড়ুয়া গ্রাম একসময় ছিল ছবির মতো সুন্দর। বড় খেলার মাঠ, বিদ্যালয়, পুকুর, মন্দির আর চাষের জমিতে ভরা গ্রামটি নানা উৎসবে প্রাণ পেত। দুর্গাপুজো, দোল সবকিছুতেই মেতে উঠতেন গ্রামবাসীরা। গ্রামজুড়ে ছিল ঐতিহ্য আর আনন্দের ছোঁয়া। কিন্তু সেই সবকিছুই আজ শুধুই অতীত।
advertisement
3/5
গ্রামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নতুন খেড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবকুমার ধারা জানান, “অজয় নদের ভাঙনের কারণে বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয়েছে গ্রাম। বহু মানুষের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে গেছে। পুরনো মন্দির, জমি, ঘরবাড়ি সব ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বহু প্রাচীন ঐতিহ্যও হারিয়ে গেছে।” সেই থেকেই গ্রামটি ফাঁকা হয়ে পড়ে।
গ্রামের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নতুন খেড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবকুমার ধারা জানান, “অজয় নদের ভাঙনের কারণে বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয়েছে গ্রাম। বহু মানুষের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে গেছে। পুরনো মন্দির, জমি, ঘরবাড়ি সব ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বহু প্রাচীন ঐতিহ্যও হারিয়ে গেছে।” সেই থেকেই গ্রামটি ফাঁকা হয়ে পড়ে।
advertisement
4/5
সবুজ ঘাসে ঢাকা পথ, হাওয়ায় ভেসে আসা মাটির গন্ধ আর অজয়ের মনোরম দৃশ্য , সবকিছু মিলিয়ে গ্রামটি আজও স্বপ্নের মতো লাগে। গ্রামে এখনও রয়েছে রাধামাধবের মন্দির, রয়েছে পাকা বাড়িঘর। কিন্তু সেখানে আর মানুষের বসতি নেই। ভাঙনের তীব্র আঘাতে গ্রাম ছেড়ে বহু দূরে নতুন করে গড়ে তুলতে হয়েছে খেড়ুয়া গ্রামকে।
সবুজ ঘাসে ঢাকা পথ, হাওয়ায় ভেসে আসা মাটির গন্ধ আর অজয়ের মনোরম দৃশ্য , সবকিছু মিলিয়ে গ্রামটি আজও স্বপ্নের মতো লাগে। গ্রামে এখনও রয়েছে রাধামাধবের মন্দির, রয়েছে পাকা বাড়িঘর। কিন্তু সেখানে আর মানুষের বসতি নেই। ভাঙনের তীব্র আঘাতে গ্রাম ছেড়ে বহু দূরে নতুন করে গড়ে তুলতে হয়েছে খেড়ুয়া গ্রামকে।
advertisement
5/5
আজও পুরনো খেড়ুয়া গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাসিন্দাদের আবেগ। নতুন প্রজন্মের অনেকে নিজের জন্মভূমি না দেখলেও, বাবাদের মুখে শুনে সেই গ্রামের গল্পে বড় হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু ঘোষ বলেন, “আমার জন্ম নতুন খেড়ুয়া গ্রামে হলেও বাবারা সবসময় পুরনো গ্রামের কথা বলতেন। তাদের স্মৃতি, তাদের শিকড় সব ওই গ্রামে। তাই আজও মনে কষ্ট হয়।” বর্তমানে মন্দির, বাড়ি সবই জঙ্গলে ঢাকা পড়ে আছে। দূর থেকে তাকালে বোঝাই যায় না, এই নিস্তব্ধ জঙ্গলের বুকেই একসময় ছিল প্রাণভরা এক গ্রাম খেড়ুয়া। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
আজও পুরনো খেড়ুয়া গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাসিন্দাদের আবেগ। নতুন প্রজন্মের অনেকে নিজের জন্মভূমি না দেখলেও, বাবাদের মুখে শুনে সেই গ্রামের গল্পে বড় হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু ঘোষ বলেন, “আমার জন্ম নতুন খেড়ুয়া গ্রামে হলেও বাবারা সবসময় পুরনো গ্রামের কথা বলতেন। তাদের স্মৃতি, তাদের শিকড় সব ওই গ্রামে। তাই আজও মনে কষ্ট হয়।” বর্তমানে মন্দির, বাড়ি সবই জঙ্গলে ঢাকা পড়ে আছে। দূর থেকে তাকালে বোঝাই যায় না, এই নিস্তব্ধ জঙ্গলের বুকেই একসময় ছিল প্রাণভরা এক গ্রাম খেড়ুয়া। (তথ্য ও ছবি বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
advertisement
advertisement