অনেকেই শীতের সময় শান্ত নিরিবিলি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে একটু সময় কাটাতে কিংবা ঘুরতে ভালবাসেন। এসময় পিকনিক, ঘোরাঘুরি তা কিন্তু বলার অবকাশ থাকে না। এমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর জায়গার সন্ধান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের ভেবিয়া শ্মশান থেকে খোলাপোতাগামী রাস্তায় চাপালি হুলো এলাকায়।
আরও পড়ুন: মদ্যপানের পর যৌন মিলনের অভ্যেস রয়েছে? শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে! কারণ জানুন
advertisement
এক কথায় শীত মানে বন্ধুবান্ধব, পরিবার, অফিসে, পাড়া প্রতিবেশী সকলকে নিয়ে ঘুরতে যেতে ভালবাসে বাঙালি। অতীত থেকেই এই অলিখিত রেওয়াজ চলছে আজও। নতুন নতুন পিকনিক স্পট, পাড়ার খেলার মাঠ এমনকি বাড়ির ছাদেও পিকনিক করে থাকে ভালবাসে বাঙালি। শীতের শুরুতেই পিকনিকের পাশাপাশি ঘুরতে যাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে পড়ে। কিন্তু তার জন্য দরকার পড়ে সুন্দর স্পট।
তবে সেই স্পটটি যদি হয় মনোরম গ্রাম্য পরিবেশ, চাষের জমির মিঠেল গন্ধ, এক পাশে হলুদ সরিষা ফুলের সারি অপর দিকে মাছ চাষের ভেড়ি ও তার মাঝখান দিয়ে সরু আঁকাবাঁকা রাস্তা! তবে কেমন হয়! এমন প্রাকৃতিক সৌন্দার্যে ভরপুর শান্ত নির্জন পরিবেশের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট শহরের অদূরেই এই স্পটে অনেকেই অবসর সময় কাটাতে আসেন। বসিরহাটের ভেবিয়া শ্মশান থেকে খোলাপোতাগামী রাস্তায় চাপালি হুলো এলাকায় এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেখা মিলবে।
আরও পড়ুন: মাংস খেয়ে শেষে কটমটিয়ে হাড় চেবান? এতে আপনার শরীরে কী হচ্ছে জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
গ্রাম্য পরিবেশে ভরপুর, মাঠে সবুজ শ্যামল ফসল, হলুদাভ সরিষা ফুলের উঁকির পাশাপাশি পাখির কলতানে এক অনন্য নির্মল শান্ত পরিবেশ। কাজের ব্যস্ততা শেষে কিংবা অফিসের ছুটি কাটিয়ে শিয়ালদাহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে চাঁপাপুকুর রেল স্টেশন থেকে ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে পৌঁছে যাবেন এই স্পটে। সব মিলিয়ে কলকাতা শহরের পাশেই ছোট্ট একটি গ্রাম্য পরিবেশে ভরা এই স্পট ভ্রমনের যে অন্য মাত্রা দিতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জুলফিকার মোল্লা