West Medinipur News: পাথরের দেওয়াল বেষ্টিত ইমারতের নেপথ্যে ইতিহাস, জানেন সেই কাহিনি
- Reported by:Ranjan Chanda
- hyperlocal
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে প্রাচীন এই দুর্গ কুরুমবেড়া। বিশাল দুর্গের বেশ কিছুটা অংশ এখনও রয়ে গিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি একটি স্থাপত্য।
কেশিয়াড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে প্রাচীর বেষ্টিত কোনও একটি স্থান। তবে মূল দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে বিভিন্ন ডিজাইনের এক একটি পাথরের খিলান। ভেতরে খোলা বারান্দা এবং তিনটি গম্বুজ যাকে ঘিরে রয়েছে প্রাচীর বেষ্টিত একাধিক খিলানযুক্ত এই পরিমণ্ডল।।প্রতিটি পাথরের খাঁজে লেগে রয়েছে ইতিহাস। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার একাধিক স্থাপত্য বয়ে চলেছে শতাধিক বছরের ইতিহাস। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। কলকাতা থেকে অদূরে জেলার এই জায়গায় রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস ক্ষেত্র এখনও বয়ে চলেছে ইতিহাস।
প্রান্তিক এক গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ল্যাটেরাইট পাথরের নির্মিত এক ইতিহাস ক্ষেত্র। পাথরের উপর পাথর দিয়ে তৈরি এই ইমারত গবেষকদের কাছে গবেষণার রসদ। এবং প্রান্তিক গ্রামে এলাকার এক ইতিহাসকে সকলের সামনে তুলে ধরেছে। বিভিন্ন ইতিহাসবিদের গবেষণায় একাধিক তথ্য উঠে এলেও সঠিক ইতিহাস এখনও জানা যায়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে ঐতিহাসিক কুরুমবেড়া দুর্গ। যদিও নানান মতের পার্থক্য থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন সেটি সেনা ছাউনি, আবার মনে করা হয় তা ঈশ্বরের স্থান। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ কিছুটা দূরেই রয়েছে এই প্রাচীন নিদর্শন। সাধারণ মানুষ এই নিদর্শনকে দুর্গ বলেই চিহ্নিত করেন। তবে গবেষকদের মধ্যে, আসলে এই স্থাপত্য কেন গড়ে উঠেছিল তা নিয়ে নানা মত রয়েছে।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে প্রাচীন এই দুর্গ কুরুমবেড়া। বিশাল দুর্গের বেশ কিছুটা অংশ এখনও রয়ে গিয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে সম্পূর্ণ পাথরের তৈরি একটি স্থাপত্য। পাথর কেটে কেটে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই দুর্গের দেওয়াল। চারিদিক ঘেরা সুসজ্জিত দেওয়াল বা প্রাচীরের মধ্যে রয়েছে তিনটি গম্বুজ আকারের স্থাপত্য। চারিদিকে রয়েছে একাধিক খিলান। কেউ কেউ মনে করেন এটি একটি মন্দির বা দেবালয় ছিল। যার চারিদিকে প্রাচীর বেষ্টিত একাধিক কুঠুরি ছিল। যেখানে তীর্থ যাত্রীরা বিশ্রাম নিতেন। পরবর্তীতে মোগল এবং তারপরে মারাঠারা এটিকে সেনা নিবাস বা ছাওনি হিসেবে ব্যবহার করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এটি কুরুমবেড়া দুর্গ বা ফোর্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। আবার কেউ কেউ মনে করেন চতুর্দিক বিস্তৃত প্রাচীর ঘেরা এই দুর্গ আসলে পান্থশালা। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে আসা কিংবা ধর্মীয় স্থানে আসা মানুষেরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে বা বিনামূল্যে থাকতে পারতেন।
advertisement
তবে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে সাধারণ মানুষ ও গবেষকদের মধ্যে নানার মত থাকলেও বর্তমানে বেশ কিছুটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয়দের মতে কিছুটা অংশ মাটির তলায় চাপা পড়েছে। তবে ল্যাটেরাইট পাথরে নির্মিত এই প্রাচীর বেষ্টিত ইতিহাস ক্ষেত্র প্রমাণ করে ইতিহাসকে।
advertisement
রঞ্জন চন্দ
স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইলের (Lifestyle News in Bengali)সব খবরের আপডেট পান নিউজ 18 বাংলাতে ৷ যেখানে থাকছে হেলথ টিপস, বিউটি টিপস এবং ফ্যাশন টিপসও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইনগুলি অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিতে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ সব খবরের আপডেট পেতে ! News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Paschim Medinipur,West Bengal
First Published :
Dec 20, 2025 10:57 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
West Medinipur News: পাথরের দেওয়াল বেষ্টিত ইমারতের নেপথ্যে ইতিহাস, জানেন সেই কাহিনি







