কোচবিহারের এক পশু অভিজ্ঞ ব্যক্তি সন্দীপন আইচ জানান, “পোষ্য কুকুর কিনে এনে অনেকেই সঠিক সময়ে প্রতিষেধক দেন না। মূলত এই ভ্যাকসিনের দাম একটু বেশি তাই অনেকেই বাদ রাখেন এটি। তাই সহজেই এই রোগে আক্রান্ত হয় সেই পোষ্য। আক্রান্ত কুকুরের মধ্যে বমি, ডায়েরিয়া, ওজন কমে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। মলের সঙ্গে রক্ত বের হতেও দেখা যায়। বাড়ির পোষ্যের যদি জ্বর, পেটখারাপ, বমি চলতেই থাকে, সেই সঙ্গে কিছুটা খিঁচুনির লক্ষণ দেখা দেয়। তবে আর দেরি না করে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এই সময়ে কুকুরদের হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তিনি আরোও জানান, “পার্ভো মূলত দুই দু’রকমের হয়। এর পুরো নাম ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস। প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করালে পরে আর ওষুধে তেমন কাজ হয় না। প্রাণ সংশয়ও দেখা দেয় এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে। রটওয়েলার, পিটবুল, ল্যাব্রাডর, গোল্ডেন রিট্রিভার, ডোবারম্যান, জার্মান শেফার্ড, স্প্যানিয়েল ককারের মতো প্রজাতির কুকুর তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হতে পারে। ক্যানাইন পার্ভো ভাইরাস বা সিপিভি সংক্রমিত কুকুরের মল কিংবা বমি শুঁকে নিলে বা তার সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত কুকুরের থেকে গর্ভস্থ সন্তানের মধ্যেও ঘটতে পারে সংক্রমণ। জন্মানোর পরে খুব অল্প বয়সে এই কুকুরগুলি মারা যায়।”
আক্রান্ত হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে বাঁচার সম্ভবনা থাকে পোষ্যর। তবে স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হয় দ্রুত। নাহলে আর কিছুই উপায় থাকে না।
Sarthak Pandit