গত কয়েক বছরে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন বিনোদনের জাল অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে।
বাচ্চারা অনলাইন ক্লাস, ভিডিও কল এবং অনলাইন কাজের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করছে অনেক বেশি। অনলাইন ভিডিয়ো স্ট্রিমিং, ভিডিয়ো গেম ইত্যাদির জন্য ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ায়। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ও এটির প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের বাবা-মায়েদের এই ডিজিটাল আসক্তি বা ইন্টারনেট আসক্তি প্রতিরোধের চেষ্টা করা উচিত। বিশেষজ্ঞরা এই আসক্তি প্রতিরোধ ও নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ‘আসল’ নাম কী বলুন তো…? এখনও জানেন না ‘উত্তর’! চমকে দেবে এই ১০ অজানা তথ্য
ডিজিটাল আসক্তি, ইন্টারনেট, মোবাইল আসক্তি এবং স্ক্রিন আসক্তি এমন একটি মানসিক সমস্যা, যার শিকার মানুষরা ডিজিটাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাতে শুরু করেন। অনেক সময় এই আসক্তি মানুষকে এতটাই প্রভাবিত করে যে সমস্যা বোঝার পরেও তাঁরা এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না। বাবা-মায়েদের এর জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামে যোগ দিতে হবে। বাচ্চাদের সাইকোলজিকাল সমস্যাগুলো কাটাতে হবে। তার জন্য বিভিন্ন মোটিভেশনাল ট্রেনারের সাহায্য নিতে হবে।
মনোবিজ্ঞানীর মতে, ডিজিটাল আসক্তি বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলার পাশাপাশি এটি আক্রান্তের আচরণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে তাঁর সামাজিক জীবনেও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি এড়াতে তাদের নিয়ে বাইরে যাওয়া, পার্কে-মাঠে খেলতে উৎসাহ দিতে হবে।
রাকেশ মাইতি