আসলে যে কোনো তেলেই স্যাচুরেটেড ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য খারাপ হলেও, আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আবার শরীরের জন্য উপকারী।
চিকিৎসকদের মতে এ ধরনের ফ্য়াট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন অর্গ্যানিক সরষের তেল (Mustard Oil to Reduce Fat) খাওয়ার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘানি ভাঙানো সরষের তেলই স্বাস্থ্যের পক্ষে আদর্শ।
advertisement
শুধু কী স্বাস্থ্য? এই সরষের তেল কিন্তু ত্বকের জন্যেও অত্যন্ত উপকারী। অস্বাস্থ্যকর তেল খাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো হার্টের অসুখ। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সরষের তেল (Mustard Oil to Reduce Fat) মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও সিএইচডি’র ঝুঁকি কমায়।
সরষের তেল যেভাবে ওজন কমায় :
সরষের তেল (Mustard Oil to Reduce Fat) হার্ট, হাড়, হজম ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এতে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যারা পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন তারা প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
এ ধরনের ফ্য়াট (Mustard Oil to Reduce Fat) কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এজন্য চিকিৎসকরা একেবারেই অর্গ্যানিক সরষের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘানি ভাঙানো সরষের তেল সবচেয়ে ভালো।
স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্যেও ভালো। অস্বাস্থ্যকর তেল খাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো হার্টের অসুখ। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও সিএইচডি’র ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন: 'বচপন কা পেয়ার' এবার বড় চমকে! আবারও সুপার ভাইরাল খুদে 'ট্যালেন্ট' সহদেব...
বিশুদ্ধ সরষের তেলের আরও উপকারিতা
এই তেল হজমশক্তি বাড়ায়। আর খাবার দ্রুত হজম হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই তেলে থাকে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। সরষের তেল লিভারের কার্যকারিতাও উন্নত করে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না বরং রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে। যেখানে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে শরীরে সঞ্চিত বাদামি চর্বির ব্যবহার বাড়ায়।
আরও পড়ুন: পৌরুষে মিশুক ফ্যাশনের আলো, সবার মধ্যে নজর কাড়ুক দীপাবলির সাজ!
সরষের তেল :
সরষের তেলে আছে মনোস্যাচুরেটেড ও পলিঅনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ।
শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতেও সহায়ক হয় সরষের তেল।
সরষের তেলের ক্যানসার বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। কারণ এই তেলেই আছে গ্লুকোসিনোলেটের উপস্থিতি
এই উপাদানগুলো কলোরেক্টাল ও গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের মতো ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
সরিষার তেল রান্নার পাশাপাশি আরও অনেক উপায়েও ব্যবহার করা যায়।
গরম সরিষার তেল দিয়ে জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করলে অস্বস্তি, ক্লান্তি অনেকাংশে কমে যায়।
আরও পড়ুন: অতি দ্রুত ওজন কমছে মানেই শরীরের মেদ ঝরছে, এই ধারণা কতটা সঠিক?
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরষের তেল দিয়ে ভাজা জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। তার চেয়ে আস্ত সরষে বেটে বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার করুন সবজি রান্না করার সময়।
মনে রাখবেন, সরষের তেল ভালো করে গরম করে তবেই খাবেন। তেল অপরিশোধিত হলে ব্যবহার করবেন না। এই তেল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে মালিশ করতে পারবেন।