স্তন ফুলে ওঠার পাশাপাশি সংক্রমণও দেখা দেয়৷ যাঁরা স্তন পান করাচ্ছেন, তাঁদের পাশাপাশি সমস্যা দেখা দিতে পারে যাঁরা স্তনপান করাচ্ছেন না, তাঁদের মধ্যেও৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একদিকের স্তনে এই সমস্যা হয়৷ কিছু বিরল ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে দু’ দিকের স্তনেই৷
সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রথম ৬ মাসের মধ্যে প্রতি ৫ জন প্রসূতির মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় আক্রান্ত হন৷ শুধু তাই নয়৷ অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দেখা দেয় সন্তানের জন্মের প্রথম তিন মাসের মধ্যে৷ বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রধানত দু’ ধরনের ম্যাসটাইটিস দেখা দেয়৷ সবথেকে সাধারণ ম্যাসটাইটিস-কে বলা হয় ল্যাক্টেশন৷ স্তন্যপান করানো মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়৷
advertisement
আরও পড়ুন ; পরিচারিকা থেকে হলেন পরোটা বিক্রেতা, চার মেয়ের মুখে খাবার তুলে দিতে মায়ের লড়াইকে কুর্নিশ নেটিজেনদের
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এই সমস্যায় আক্রান্ত হন মেনোপজ হয়ে যাওয়া মহিলারা৷ বিশেষ করে যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়৷ এই দ্বিতীয় ধরনের সমস্যাকে বলা হয় পেরিডাক্টাল বা ডাক্ট একট্যাসিয়াও৷ এক্ষেত্রে নিপল বা স্তনবৃন্ত ভিতরে ঢুকে যায়৷ স্তন থেকে দুধের মতো এক ধরনের তরল বেরিয়ে আসে৷
আরও পড়ুন ; গরম এসে গিয়েছে, এখনই এই প্রসাধনীগুলি রাখুন আপনার হাতের কাছে, ব্রণমুক্ত তরতাজা থাকুন গ্রীষ্মভর
এই সমস্যায় কখন সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে? জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা-
# যদি স্তন অতিরিক্ত নরম হয়ে পড়ে
# স্তন স্পর্শ করলে যদি হাতে উষ্ণ লাগে
# স্তন যদি লালচে হয়ে যায়
# স্তন যদি ফুলে ওঠে
# হাল্কা জ্বর আসতে পারে
# স্তনে মাংসপিণ্ড দেখা দিলে
# স্তন্যপান করানোর সময় যন্ত্রণা ও জ্বালার অনুভূতি
# মাথাযন্ত্রণা
# বমি ও গা বমি ভাব
# নিপল থেকে তরল নিঃসরণ
# ক্লান্তিভাব
অবশ্যই একাধিক কারণ আছে যাতে ম্যাসটাইটিস প্রভাবিত করতে পারে৷ সংক্রমণের পিছনে মূল কারণ হল যখন ত্বক বা স্যালাইভার জীবাণু মিল্ক ডাক্টের মাধ্যমে প্রবেশ করে ব্রেস্ট টিস্যুতে৷
আরও পড়ুন ; সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ফের বড় পর্দায় ফেলুদার অভিযান, প্রদোষচন্দ্র মিত্রের ভূমিকায় কি ব্যোমকেশ?
পাশাপাশি, আরও কিছু জটিলতা আছে যাতে ম্যাসটাইটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়-
অতিরিক্ত টাইট ফিটিং অন্তর্বাস পরার ফলে দুধের গতি যদি আটকে যায়
একই পজিশনে বাচ্চাকে ধরে রেখে স্তন্যপান করিয়ে গেলে