সারা রাত ধরে মন্ত্রোপাঠ, স্তবের মাধ্যমে ফুটে ওঠে ভক্তদের একাগ্রতা ও নিষ্ঠা৷ এই প্রার্থনার মধ্যে দিয়েই মহাদেবের আশীর্বাদপ্রার্থী হন শৈব ভক্তরা৷ পুণ্যতিথিতে উপবাসের পরে শিবের আরাধনা করেন ভক্তরা৷ চাল, গম, অন্য শস্য থেকে দূরে থাকাই বিধেয় উপবাসকালে৷ বিশ্বাস করা হয়, উপবাসে শরীর ভাল থাকে এবং মনও শুদ্ধ হয়৷
আরও পড়ুন : বাড়িতে মহাশিবরাত্রি পুজো করলে কী কী উপকরণ প্রয়োজন হবে? কোন প্রহরে কোন উপকরণে পুজো করবেন?
advertisement
উপবাস শুরুর আগে পুণ্যার্থীর ঘুম ভাঙে ব্রাহ্ম মুহূর্তে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের ২ ঘণ্টা আগে৷ স্নান করে শুদ্ধ বসন ও চিত্তে শুরু হয় ধ্যানপর্ব৷ পরের দিন চতুর্দশী তিথি থাকা পর্যন্ত উপবাস রাখা হয়৷ এদিন রান্নায় সাধারণ নুনের বদলে সৈন্ধব লবণ ব্যবহার করা হয়৷ মহাশিবরাত্রি পুজোয় শিবলিঙ্গের অভিষকের সময়ও উপবাসেই থাকেন ভক্তরা৷ ঘি, মধু, কাঁচা দুধ, ফুল, ধূপকাঠি, প্রদীপ সহকারে পুজো করা হয় মহাদেবের৷ উপবাস মানে শুধু খাবার থেকে দূরে থাকা নয়৷ মানসিক বিকাশে উপবাস কাজ করে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা থেকেও৷
আরও পড়ুন : মহাশিবরাত্রিতে উপবাস করবেন তো? এই নিয়মগুলি অবশ্যই মানুন
আরও পড়ুন : শিবরাত্রির দীর্ঘ উপবাস ভঙ্গ করতে কেন সাবুমাখা খাবেন? জানুন সাবুর অশেষ গুণ
শিবরাত্রি তিথির কঠোর উপবাস বিধিতে পুণ্যার্থীরা নিরম্বু উপবাস করেন৷ ভেজানো বাদাম, শুকনো ফল, দুধ, মধু, সাবুদানা, নারকেল জল পান করা হয় উপবাস ভঙ্গে৷