রঙিন একটা ফুড কার্ট। হাতে প্রস্থেটিক এবং মুখে গ্লাভস পরে তৈরি হচ্ছে খাবার গুলো। দেখলে জিভ দিয়ে পড়বে জল। একসময় অস্ট্রেলিয়াতে মোমো বানানোর জন্য ডাক পেয়েছিলেন কিন্তু সেই ছেলেই এখন বিদেশি খাবার তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ায়। কড়াইতে আগুনের ঝড় তুলে তৈরি হচ্ছে স্পেশাল সব খাবার। এ যেন স্ট্রিট ফুডের নবজাগরণ। মাত্র ৪০ টাকা থেকে পাওয়া খাবার। রয়েছে আগুনে ঝড় তোলা মোমো থেকে রামেন, যে একবার খেয়েছে, বার বার ফিরে আসতে বাধ্য।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
বাঁকুড়া শহরের বুকে বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের মাঠের উল্টোদিকে সন্ধ্যা হতেই যেন মানুষের ঢল নামে। প্রায় দশ ধরনের বিভিন্ন স্বাদের এবং গন্ধের খাবার তৈরি হয়। কোনোটাতে আছে জিভে জল আনা গ্রেভি আবার কোনোটা একেবারে ফ্রেসলি স্টিম করা। যথাযথ দাম এবং অতুলনীয় স্বাদের টানে বাঁকুড়ার স্ট্রিট ফুড আইকন। একেবারে স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি বাজেটে বিভিন্ন চাইনিজ, জাপানিজ এবং কোরিয়ান আইটেম এবং মোমো বিক্রি করছে।
বাঁকুড়া শহরে ভালো স্ট্রিট ফুডের অভাব ছিল অনেক দিনের। সেই অভাব একেবারে সিঙ্গেল হ্যান্ডেডলি পূরণ করছে সুশীল পাত্র। সুশীলের এই ট্রাকের স্টলটাতে শুরু হয়েছে সব রকমের খাবারের নব বিপ্লব। বাবা মারা গিয়েছিলেন বলে, অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি সুশিলের, কিন্তু নতুন নতুন খাবার বানাতে জানত সে। যে মোমো তৈরি হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়াতে সেই মোমো এবং স্ট্রিট ফুড এখন তৈরি হচ্ছে খোদ বাঁকুড়ায়। তাও আবার যথাযথ মূল্যে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী