রস জাল দেওয়ার আগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট স্থির অবস্থায় রসটিকে একটা পাত্রে রেখে দিতে হয়। যাতে এতে রসের মধ্যে থাকা ময়লা গুলো নিচে জমা হয়। তারপর রসের উপরে জমাকৃত নোংরা সরিয়ে কাপড় দিয়ে ছেঁকে কড়াইতে ঢেলে দিতে হয়। তারপর কড়াইয়ের রস জাল দেওয়া শুরু করতে হয়। তারপর একটা বড় উনানে একটি বড় কড়াই বসিয়ে সেই উনুনে ঘণ্টা দুয়েক ধরে আখের রস জাল দিতে হয়। রস জাল দেয়ার সময় প্রথম অবস্থায় প্রচুর পরিমাণ নোংরা ভেসে ওঠে, যা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যার রাতে এই তিন রাশির জাতক-জাতিকাদের বড় বিপদ! জানুন জ্যোতিষীর মত!
আরও পড়ুন: অঘোর চতুর্দশী! মহানিশায় এই গুপ্ত শিবরাত্রি পালন করলে যে কোনও কার্য সিদ্ধি!
ছাড়া ও নোংরা পরিষ্কার করা ও গুড়ের আঠালো ভাব আনার জন্য কিছু জিনিস সেই আখের রসে মিশাতে হয়। যেমন,বন ঢেঁড়স, উলট কম্বল, শিমুলের চাল ও ঘৃতকুমারী ইত্যাদির আঠালো নির্জাস ব্যবহার করা হয়।এগুলোর কাণ্ড থেঁতলে জলে মিশিয়ে আখের রসের মধ্যে দিলে রসের ময়লা জমাটবদ্ধ হয়। এই ময়লা খুব সহজে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে ফেলা যায়। এরপর রস যখন ঘন এবং লাল বর্ণ হয় তখন উনুন থেকে নামিয়ে নিতে হয়। গুড় নামানোর পর ঠান্ডা করা হয় এবং ঠান্ডা গুড় মাটির কলস বা মাটির পাত্র কিংবা টিনের ছাঁচের মধ্যে রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং বাজারজাত করা হয়। চিনির থেকে অনেক বেশি গুণ রয়েছে এই গুড়ের। তাই চিনি ছেড়ে আজ থেকেই গুড় খাওয়া শুরু করুন।
পিয়া গুপ্তা