১৮ জুন, ২০২৪ তারিখ ছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বুকে একটি কালো দিন। দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকাণ্ডের জেরে হলং বন বাংলো সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের স্থান ছিল হলং বন বাংলো। একবার এই বন বাংলোতে রাত্রিযাপনের সুযোগ কোনও পর্যটক হাতছাড়া করতে চাইতেন না। ১৯৬৭ সালে হলং বাংলো তৈরি হয়৷ প্রধান আকর্ষণ ছিল কাঠের তৈরি কাঠামো৷ সেই কারণেই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ছুটে আসতেন এই বাংলোয়৷ এমনকী, যাঁরা থাকার জায়গা পেতেন না, তাঁরা শুধু ছবি তোলার জন্য জলদাপাড়ার এই বাংলোয় আসতেন৷ সেই বিষয়টিও নতুন করে তৈরির সময় মাথায় রাখছে বন দফতর৷
advertisement
১৮ জুন রাতে হঠাৎই আগুন লেগে পুড়ে যায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ঐতিহ্যবাহী হলং বন বাংলো। এটি ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ভস্মীভূত হয়ে যায়। পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটকরা চাইছিলেন এই বাংলোটি তৈরি করা হোক নতুন করে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জলদাপাড়া আসেন। বাংলোটি পুনরায় করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। অবশেষে বাংলোটি তৈরি হতে চলেছে। তাই পুনরায় হলং বাংলো তৈরির খবরে উচ্ছ্বসিত বন দফতর ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জলদাপাড়ার ডিএফও প্রবীণ কাশওয়ান জানান, “আগের মতই হলং বাংলো তৈরি করা হবে। কাঠের বাংলো তৈরি করা হবে। আগামী সপ্তাহেই টেন্ডার করা হবে। যত টুকু জায়গাতে বাংলোটি ছিল, তত টুকু জায়গাতেই তৈরি হবে।”





