এই গ্রামের প্রায় ৮০ শতাংশ পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মাদুর তৈরি করে চলেছেন। বাড়ির পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলা সকলে বসে একসঙ্গে মাদুর তৈরি করেন। সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর থেকেই শুরু হয় কাঠি শুকোনো, রঙ করা, নকশা কাটা আর মাদুর বোনার কাজ। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেও মাদুর তৈরির ব্যস্ততা কমে না। গ্রামের ঘরে ঘরে উঠোন থেকে শেড—সব জায়গায় সারি সারি মাদুর শুকোতে দেখা যায়। এই গ্রামে এলেই আপনার নজর কাড়বে নানান রকম ট্রেন্ডিং ডিজাইনের মাদুর। মাদুর শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত ট্রেন্ডিং মাদুর তৈরি করে চলেছে এই গ্রাম।
advertisement
কনকপুর গ্রামের পূর্ণচন্দ্র পাঁজা প্রায় চার দশক ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বাবা ও ঠাকুরদার কাছ থেকেই তিনি শিখেছেন মাদুর তৈরির কাজ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তার পরিবার মাদুর তৈরি করে চলেছেন। তার বাড়ির কচিকাচাদের ঘুম ভাঙ্গে মাদুর তৈরির শব্দে। জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে যায় কনকপুরের মাদুর। শুধু সাধারণ মাদুর নয়, আজকের বাজারের চাহিদা মাথায় রেখে তাঁরা তৈরি করছেন নানান ধরনের ট্রেন্ডিং মাদুর—টেবিল মাদুর, শো-পিস মাদুর, রঙিন বর্ডার ও ডিজাইন করা ফ্যান্সি মাদুর।
আবার সারা বছর কাঠির জোগান বজায় রাখতে নিজেরাই চাষ করছেন মাদুর কাঠি। বর্ষাকালে কাঠি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে তাঁরা বিশেষ শুকোনো ঘরও তৈরি করেছেন। সরকারের সহায়তা সীমিত হলেও নিজেদের প্রচেষ্টায় কনকপুর গ্রাম ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে একটি স্বনির্ভর হস্তশিল্প গ্রামের। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই গ্রাম মাদুর শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।





