আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলিবর্দি খাঁ, তাঁর নাতি সিরাজউদ্দৌলার জন্য মোতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হিরের মতো চকচক করতো, আর সেই কারণে লোকমুখে এই স্থানের নাম হয় হীরাঝিল প্রাসাদ।
advertisement
পলাশির যুদ্ধের পর কিছুদিন নবাব মীরজাফর আলি খান এই প্রাসাদ ব্যবহার করেছিলেন এবং পরবর্তীতে পলাশীর যুদ্ধের পরে এই প্রাসাদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে ইতিহাসবিদদের ধারণা। দীর্ঘ দিন পর কয়েক বছর আগে জনসমক্ষে এসেছিল এই হীরাঝিল প্রাসাদ। প্রাসাদের সংরক্ষণের জন্য শুরু হয় আন্দোলন।
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগার থেকে কৃমি নিয়ন্ত্রণ করে নিমেষে! জানুন পলাশগাছের নানা অংশের হাজারো ওষধি গুণ
দীর্ঘ আন্দোলন চললেও সরকারিভাবে এর কোনওরকম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রাসাদ সংরক্ষণের দাবিতে তৈরি হয়েছে হীরাঝিল বাঁচাও কমিটি। তাঁদের উদ্যোগে এখানে তৈরি করা হয় হীরাঝিল উদ্যান। বর্তমানে কিছু কিছু পর্যটকরা আসেন ইতিহাসের সন্ধান নিতে। ঘুরে দেখেন নবাব সিরাজউদ্দৌলার হীরাঝিল। তবে ইতিহাসকে খোঁজার চেষ্টা করে যান পর্যটকরা। স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছে মনসুরগঞ্জের হীরাঝিল প্রাসাদ। তাই হাজারদুয়ারির পাশাপাশি এই প্রাসাদের অংশবিশেষ দেখে আসুন। পাবেন ইতিহাসের স্বাদ।





