তবে বর্তমান সময়ে দেশি প্রজাতির জবা অপেক্ষা পুনে, আমেরিকান, ব্যাঙ্গালোর-সহ বেশ কয়েকটি উন্নত প্রজাতির জবা গাছ থেকে সারা বছর অনেক বেশি আকারে বেশ বড় এবং সুন্দর ফুল পাওয়া যায়। সেজন্য অনেকেই এই সমস্ত হাইব্রিড প্রজাতির জবা গাছের দিকেই ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুন: বাড়িতে কোন ‘গাছ’ থাকলে ‘সাপ’ আসে বলুন তো…? চমকে দেবে এই ৫ ‘নাম’, শিওর!
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের জনপ্রিয় নার্সারিতে দেখা মিলল বেশ কয়েক প্রকারের উন্নত প্রজাতির জবা গাছের। জবা গাছের পরিচর্যা নিয়ে নার্সারীর উদ্যোক্তা নুরুল হাসান জানান, “জবা গাছের জন্য প্রথম অবস্থায় প্রয়োজন সঠিক চারা নির্বাচন। একটি স্বাস্থ্যবান ও ভাল চারা অনেক বেশি ফুল দেয়। সেজন্য নার্সারী থেকে ছোট আকারের মোটা কান্ডের সুস্থ-সবল চারা নির্বাচন করা দরকার।
আরও পড়ুন: টলোমলো পায়ে মাতাল হয়ে মণ্ডপে হাজির বর, ১০ মিনিটে ‘সব’ শেষ…! এ কী করলেন কনের মা…!
জবা গাছ বরাবরই রোদ পছন্দ করে। দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা রোদ পায় এমন জায়গায় রাখলে তা থেকে ভাল ফুল পাওয়া যায়। বিশেষ করে এই শীতের সময় যাতে বেশি পরিমাণ রোদ পায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।তবে বেশিরভাগ জবা চড়া রোদ পছন্দ করলো বেশ কিছু গাছ চড়া রোদে রাখলেই ফুল দেয় না। তাই গাছ বুঝে এই রোদে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
গাছের খাদ্যের জন্য, জৈব পদ্ধতিতে প্রতি সাতদিন অন্তর কমপক্ষে তিনদিনের পচানো সরষের খোলের জল পাতলা করে দিয়ে যান। কুড়ি থেকে পঁচিশ দিন অন্তর এক মুঠো হাড়গুঁড়ো, এক মুঠো শিং-কুচি, এক মুঠো নিম খোল, এক মুঠো পাতাপচা সার, এক মুঠো ভার্মি কম্পোস্ট একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে এই পরিমাণে প্রতি টবে দিয়ে যান। পাশাপাশি জবা গাছের মিলিবাগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।
জুলফিকার মোল্লা