বন্যা কবলিত এলাকায়, বন্যার জল থেকে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা যায়। পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী সময়ে স্যাঁতস্যাঁতে কাদামাটিতে চলাফেরার কারণে পায়ে নানান ফাংগাল ইনফেকশন দেখা যায়। যাকে প্রচলিত কথায় হাজা বলা হয়। এই ধরণের ফাংগাল ইনফেকশন (Fungal infection) শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। বেশি হয় হাত-পায়ের আঙুলের ফাঁকে, শরীরের খাঁজে। আর্দ্রতার জন্যই মূলত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ৯৯% মানুষই জানেন না…! বলুন তো ‘ছাগল’ কোন দেশের জাতীয় প্রাণী? চমকে দেবে উত্তর!
শুধু তাই নয়, বন্যা পরবর্তী সময়ে জমা জল, গাছের শুকনো পাতা ধীরে ধীরে পচন হতে শুরু করে। সেই জল হাতে কিংবা পায়ে লাগলে সেই সব জায়গায় চুলকানি দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকায় জল নামতে শুরু করলেও বাড়ির উঠোন, বাড়ির সামনে কিংবা রাস্তাতে স্যাঁতস্যাঁতে পরিস্থিতি থাকে। পাশাপাশি এই সময় গ্রাম বাংলার বহু মানুষ বন্যার জমা জলে মাছ ধরেন। সেক্ষেত্রে এলার্জি জাতীয় রোগ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবে এই সমস্ত জায়গা কম গেলে বন্যা পরবর্তী সময়ে ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি হয় না। স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে কাজ করতে গেলে তৈলাক্ত কোনও জিনিস গায়ে মেখে তারপরে সেই সব স্থানে যাওয়া যেতে পারে।পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক মণ্ডল।
পাশাপাশি যে সমস্ত মাটির ঘরগুলোতে বন্যার জল ঢুকেছিল সেই সমস্ত বাড়ির দরজা জানলা খুলে হাওয়া-বাতাস লাগানোর পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক। স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে থাকলে বাচ্চা কিংবা বড়দের হাঁচি, কাশি কিংবা জ্বর হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন ডা. আশীষ মণ্ডল। ঘরের ভেতরকার সঙ্গে মাটি শুকনো হলে ত্বকের কোনও সমস্যা হবে না। শারীরিক কোনও অসুস্থতা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন।
রঞ্জন চন্দ