রান্নাঘর থেকে অন্তত প্লাস্টিককে বিদায় অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বদলে কাঁসা কিংবা পেতলের বাসন ব্যবহার করতে পারি আমরা। বহু প্রাচীণ কাল থেকে আমাদের দেশে কাঁসা কিংবা পেতলের বাসনে রান্না এবং খাওয়া হয়ে আসছে। আজকাল অবশ্য কাঁসার বাসন ব্যবহার করার প্রবণতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু, এই বাসন ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সেরে যায় অর্শের ব্যথা! ম্যাজিকের মতো কমে ডায়াবেটিস! শুধু জানুন কীভাবে খাবেন এই ফল
৭৮ শতাংশ তামা এবং ২২ শতাংশ টিন মিশিয়ে তৈরি হয় শংকর ধাতু কাঁসা। তামা ও টিনকে নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে ৭০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় গরম করে এই সুপার ধাতু তৈরি হয়। এই ধাতুর ভারতীয় নাম কাঁসা এবং ইংরেজিতে একে ব্রোঞ্জ বলে। তামা টক জাতীয় খাবারের সংস্পর্শে এসে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এ ছাড়া নোনতা খাবারেও তামায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সেই কারণে তামা ও টিনের শংকর ধাতু কাঁসায় কোনও প্রতিক্রিয়া হয় না। তাই রান্না ও খাওয়ার জন্য সেরা ধাতু হল কাঁসা কিংবা পেতলের বাসন।
কোচবিহারের চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, ‘কাঁসা খাদ্যকে পরিশুদ্ধ করে। সেই কারণে কাঁসার বাসনে খাবার খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। কাঁসার স্বাস্থ্যকর গুণাবলীর জন্য বিশেষজ্ঞরা কাঁসার বাসনে রান্না ও খাওয়ার পরামর্শ দেন। স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়া, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাঁসার বাসনে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কাঁসার মধ্যে জীবাণুনাশক ক্ষমতা রয়েছে। ফলে কাঁসার বাসনের রান্না করা খাবার কাঁসার থালা-বাটিতে খেলে শরীর ভাল রাখতে উপকারী।’
তিনি আরও জানান, ‘কাঁসায় বুদ্ধি বাড়ে। কাঁসা আমাদের বুদ্ধিমত্তাকে আর তীক্ষ্ণ করে তোলে। কাঁসা মস্তিষ্ককে সজাগ ও সতর্ক করে তোলে। এ ছাড়া নানা ধরণের অসুখ থেকে মুক্তি পেতেও কাঁসা অত্যন্ত উপকারী। কাঁসার পাত্রে অন্তত আট ঘণ্টা ধরে জমিয়ে রাখা জল শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।’ এই সমস্ত বিষয়ের কারণেই কাঁসা কিংবা পেতলের পাত্র ব্যবহার করা সত্যিই মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Sarthak Pandit