শান্তিনিকেতনের এই বসন্ত উৎসব জগত বিখ্যাত। নোবেল বিজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী ও তাঁর রচনা বরাবরই শিল্পপ্রেমীদের অনুপ্রেরণার উৎস। আর এই চলতি বছরে দোলযাত্রাক ঘিরে আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে দোলের উৎসবে মেতে উঠবেন বোলপুরের মানুষজন। জদিও চলতি বছর বসন্তোৎসব কবে হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।তবে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, উৎসবের আগের দিন বৈতালিক হয়।পর দিন ভোরেও বৈতালিক হয়। বিশ্বভারতী, পাঠভবন, আনন্দ পাঠশালার পড়ুয়ারা মিলে কমবেশি দুই ঘন্টার অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করেন।এর পর শুরু হয় আবির খেলা। ভিড় সামলাতে আবির খেলার আয়োজন বড় খোলা জায়গায় করার চেষ্টা করা হয়।
advertisement
হোটেল বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে বলে খবর। বসন্তোৎসবের মুখ্য আয়োজক কিশোরবাবুর কথায়, ‘শান্তিনিকেতনে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ টি নথিভুক্ত হোটেল, হোম স্টে, লজ রয়েছে। সেগুলির কোনওটাই এই সময় ফাঁকা থাকে না। ফলে প্রতি বছরই এই দিনটি চ্যালেঞ্জ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে।’আপনিও যদি প্রথমবার শান্তিনিকেতন ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন কোথায় কোথায় ঘুরতে গেলে ভালো হয়। আপনি কাঁচমন্দির, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাস, খোয়াই/সোনাঝুরি হাট, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, গীতাঞ্জলি রেল মিউজিয়াম, কঙ্কালিতলা, ছাতিমতলা, আশ্রমপ্রাঙ্গণ, রবীন্দ্র ভবন মিউজিয়াম , কলাভবন , কোপাই নদী , সৃজনী শিল্পগ্রাম, বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক, সুরুল জমিদারবাড়ি ঘুরে আসতে পারেন।
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই শান্তিনিকেতন কীভাবে যাবেন? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ট্রেনে, বাসে বা নিজের গাড়ি করে আপনি খুব সহজেই এই শান্তিনিকেতনে পৌঁছে যেতে পারেন।যদি কলকাতা শিয়ালদহ হাওড়া থেকে আসেন তাহলে যে কোনওট্রেন এর স্টপেজ পাবেন এই স্টেশনে।শান্তিনিকেতনের থাকার জন্য বহু রিসোর্ট, হোটেল, হোম স্টে ও কিছু লজ রয়েছে। গোটা শান্তিনিকেতন ঘুরতে আপনি টোটো বুক করতে পারেন। সেইসঙ্গে ২ রাত ৩ দিনের আপনি যদি প্ল্যান করেন তাহলেই যথেষ্ট।তাহলে আর চিন্তা না করে বসন্তের ছুটি কাটিয়ে যান বোলপুর শান্তিনিকেতনে।
সৌভিক রায়