TRENDING:

Birbhum Tourism: দিনের বেলাও গা ছমছমে পরিবেশ, ব্রিটিশ আমলের বিরাট স্থাপত্য আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে, ঠিকানা জেনে ঘুরে আসুন অন্যরকম অভিজ্ঞতা পেতে

Last Updated:

Birbhum Tourism: ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বে বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা বীরভূম তথা আমাদের ভারতবর্ষ। দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম, সৌভিক রায়: স্কুল জীবন থেকে শুরু করে কলেজ লাইফে আমরা ইতিহাসের পাতায় বিভিন্ন ধরনের অজানা ইতিহাসের গল্প পড়েছি অথবা শুনেছি। কোনও ইতিহাসের বইতে পড়েছি যুদ্ধের কথা আবার কোথাও অনেক না জানা ইতিহাসের ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি। সেই সমস্ত পুরনো যুগের গল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হলও নীল চাষ, নীল বিদ্রোহ, পাশাপাশি নীলকুঠি। এই শব্দের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। ব্রিটিশ আধিপত্যের অবসান হয়েছে অনেক আগেই। দেশ স্বাধীন হয়েছে বহু বছর আগে। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ব্রিটিশ আমলের সেই নীল চাষ আর নেই।
advertisement

তবে নীল চাষ না থাকলেও নীলকুঠিগুলি আজও রয়েছে নিজের জায়গায় স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে। এরকমই একটি নীলকুঠি রয়েছে বীরভূমের লাভপুরে। চারিদিকে আগাছা তার সাথে বড় বড় গাছ আর ঘন গভীর জঙ্গল। আর এই বিস্তীর্ণ জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভগ্নপ্রায় গুনুটিয়া নীলকুঠিটি। বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে তৈরি হয়েছিল এই নীলকুঠিটি।

আরও পড়ুনঃ সেবক-রংপো রেলের স্বপ্ন যাত্রায় বড় অবদান, শিলিগুড়ির যুবক সুব্রত পাল যা করে দেখালেন…! ধন্য ধন্য করছে সবাই

advertisement

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বে বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা বীরভূম তথা আমাদের ভারতবর্ষ। দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা। ঠিক সেই রকম বীরভূমের একটি জায়গা হল লাভপুরের নীলকুঠি। এই নীলকুঠি দাঁতন দিয়ে নীল চাষ এবং কৃষকদের উপর অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছে একসময়।ইতিহাসকে জীবিত করে রাখা জঙ্গলে ঘেরা ওই নীলকুঠিটি হলও বীরভূমের লাভপুরের গুনুটিয়ার বোলপুর ও লাভপুরের রাস্তায় কুয়ে নদী পার হওয়ার পর লাভপুর থেকে লাঘাট যাওয়ার পথে সেতু পার হয়ে ময়ূরাক্ষী নদীর পাশে অবস্থিত।

advertisement

আরও পড়ুনঃ হাতের অনামিকার মাপ, আকারই চিনিয়ে দেয় কে কেমন মানুষ! মিলিয়ে দেখুন ‘এই’ সহজ উপায়ে, চমকাবেন আপনিও

প্রসঙ্গত, জানা যায় সময়টা নেহাতই কম নয় আজ থেকে প্রায় ২৫০-৩০০ বছর আগে জলপথে যাতায়াতের সুবিধা,আবহাওয়া,কাঁচামাল, উর্বর জমির জন্য বীরভূম জেলায় লাক্ষা, তুঁত, রেশম, নীল প্রভৃতি ভাল চাষ হত। রেশম চাষের জন্য ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ বণিক এডওয়ার্ড হে বীরভূমের লাভপুরে ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে গুনুটিয়া কুঠি তৈরি করেন। জানা যায়, প্রথম দিকে এখান থেকে রেশম, তুঁত প্রভৃতি চাষের তত্ত্বাবধান করা হলেও পরবর্তীকালে নীল চাষ শুরু হয়। তাই পরে এই গুনুটিয়া কুঠি নীলকুঠি হিসাবে পরিচিতি পায়।

advertisement

ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৭৮৫ সালে ফরাসি বণিক জেমস ফ্রুশার্ড ২০ হাজার টাকায় এই গুনুটিয়া কুঠি কিনে নেন। সেই সময় কুঠির পরিধিও বৃদ্ধি পায়। ভারতে তখন ব্রিটিশ সরকার আধিপত্য জমাতে শুরু করেছে। তাই পরবর্তীতে ১৮০৮ সালে এই কুঠিটি ব্রিটিশ সরকার কিনে নেন। কুঠির দায়িত্ব দেওয়া হয় জন চিপের হাতে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই নীলকুঠি আজকে প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থা। ধীরে ধীরে ব্রিটিশ আমলের সেই ইট ঝরে পড়ছে। হারিয়ে যাচ্ছে নীলকুঠির প্রাধান্য। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন অন্ততপক্ষে এটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হোক।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Birbhum Tourism: দিনের বেলাও গা ছমছমে পরিবেশ, ব্রিটিশ আমলের বিরাট স্থাপত্য আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে, ঠিকানা জেনে ঘুরে আসুন অন্যরকম অভিজ্ঞতা পেতে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল