চিকিৎসক অসীম জানান, “গাজরকে চোখের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্য়ারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। ভিটামিন এ চোখের জন্য খুব কাজের। তীব্র রোদ থেকে চোখকে বাঁচায় বিটা ক্যারোটিন। গাজর ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর ফ্রি র্যা ব়্যাডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
advertisement
গাজরে মূলত দুই রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। একটি হল ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যটি অ্যান্থোসায়ানিন। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য এই দু’টি খুবই কাজের। এছাড়াও গাজর হার্টের জন্য খুব উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের পক্ষে লাভজনক। এর পাশাপাশি গাজরে থাকা পটাশিয়াম ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। লাল গাজরে থাকে লাইকোপিন। এটিও হার্টকে ভাল রাখে।”
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্তাল্পতা! সবের যম এই ফল, শুধু খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
আরও পড়ুন: রোজ একটি করে আমলা! ছুঁতে পারবে না কোনও রোগ, কী ভাবে খাবেন জেনে নিন
তিনি আরও জানান, ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করে তুলতে এটি অত্যন্ত কাজের। গাজরে থাকে ভিটামিন সি। যা অ্যান্টিবডি তৈরিতে কাজে লাগে। গাজরের আরও একটি গুণ হল সেটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। গাজরের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম আর ভিটামিন কে দাঁত এবং হাড় মজবুত করে। গাজর ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের গাজর খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। গাজরে থাকা ফাইবার ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে যে সমস্ত মানুষের গাজর খেলে শরীরে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তারপর গাজর খাবেন। না হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সার্থক পণ্ডিত





