তবে এই বিখ্যাত, ঐতিহ্যপূর্ণ চমচমের ইতিহাস জানেন? টাঙ্গাইল থেকে বেলাকোবা। যাত্রাটা নেহাত সহজ ছিল না। স্বাধীনতার আগে যখন মানচিত্র টুকরো হতে যাচ্ছে, তখনই যোগসূত্র তৈরি হয়ে যায় এই দুই জনপদের। তখনও টাঙ্গাইল জেলাসদর হয়নি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাওয়ায়, টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের বসতি ছেড়ে পরিবার নিয়ে বেলাকোবায় চলে এসেছিলেন দুই বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই আসে পোড়াবাড়ির চমচমের ‘রহস্যময়’ রেসিপি। পরবর্তীতে যা কিনা বেলাকোবার চমচম হিসেবে খ্যাত হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : উপকারিতায় ঠাসা হলেও এই বিশেষ ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি লালশাকে! জানুন কারা এই পাতা মুখে তুললেই সর্বনাশ!
কিন্তু এখনও মেলেনি এই চমচমের জি.আই ট্যাগ। এর আগে জিআই ট্যাগ পেয়েছে সরভাজা। অনেক আগেই ট্যাগ পেয়েছিল রসগোল্লা।আর দীর্ঘদিন ধরে চমচম তৈরি করেও এখনও জিআই ট্যাগ মেলেনি জলপাইগুড়ির এই ব্যবসায়ীদের। খানিক মুখ ভার হলেও এখনও তাঁরা আশাবাদী, হয়তো তাদেরও মিলবে ভৌগোলিক ইঙ্গিত ট্যাগ।রহস্যময় এই চমচমের রেসিপি এখনও পর্যন্ত বাইরে কোথাও কেউ জানে না। ফলে জিআই তকমা পাওয়ার ষোলআনা দাবিদার তাঁরাই। এখন অপেক্ষা কবে তাদের এই আশা পূর্ণ হয়!