বর্ষা থেকে শীত পর্যন্ত ফলন হয় বাতাবি লেবুর। জন্ডিসের মহাঔষধ বলে সুপরিচিত এই ফল। তবে এখনও গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এই ফলের ব্যবসায়িকভাবে চাষ খুব একটা শুরু হয়নি, তাই বিষাক্ত রাসায়নিক সার কিংবা কীটনাশক বিহীনভাবেই পাওয়া যায় এই ফল।
আরও পড়ুনঃ এ যেন নবজন্ম! সিকিম থেকে বেঁচে ফেরা ৫ শ্রমিকের গল্প শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে
advertisement
এই ফলের গুণাবলী বলে শেষ করার মতো নয়। ইদানিংকালে ফলের রসের জুস নামে রাসায়নিকভাবে প্রস্তুত বোতল বন্দি বিভিন্ন পানীয় বাজারে পাওয়া গেলেও, তাতে উপকারের থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তবে এ ধরনের ফলের জোগান, কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাটার ঝামেলা এবং সময়ের অভাবে ক্রমশ হারাতে বসা এ ধরনের ফলকে আবারও মানুষের প্রিয় করে তুলেছেন বিভিন্ন ফলের রস বিক্রেতা।
আরও পড়ুনঃ সংসারে অশান্তি-দুর্যোগের আগেই সতর্ক সংকেত দেয় তুলসি! কী পরিবর্তন আসে গাছে? জানুন
শান্তিপুর স্টেশন থেকে বাইপাসে যাওয়ার মুখে তিন ধরনের ফলের রস পাওয়া যায়। আষাঢ় মাস থেকেই বাতাবি লেবুর রস বিক্রি হইয় দোকানে। তারা জানাচ্ছেন, সর্বাধিক বিক্রি হয় মুসম্বি লেবুর রস, বেদানা এবং আনারসের রস। কিন্তু আনারসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাতাবি লেবুর প্রতি ঝোঁক বেড়েছে মানুষের। গত বছরেও যেখানে দু-দশ গ্লাস প্রতিদিন বাতাবি লেবুর রস বিক্রি হত, প্রতিদিন ৩০-৪০ গ্রাস বিক্রি হয় বর্তমানে। এরমধ্যে বেশ কিছু রোগী রয়েছেন যারা নিয়মিত এই রস পান করেন।
তবে পথ চলতি সাধারণ মানুষ গরমকালে যেমন পোড়া আমের শরবত খেয়ে থাকেন, এই সময় মুসম্বি লেবুর পাশাপাশি তারা পছন্দ করছেন বাতাবি লেবুর রস। বাজারে ১০-১৫ টাকায় লেবু পাওয়া গেলেও এক গ্লাস রসের দাম ৩০ টাকা। এ প্রসঙ্গে তারা জানান, আগে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারী।
সাদা, গোলাপি এবং লাল এই তিন প্রজাতির লেবু রয়েছে। লাল প্রজাতির লেবু খুঁজে বেশি দামে সংগ্রহ করতে হয়। তা বাদে বাজারেও যোগান একইভাবে থাকে না। তাই এ ধরনের গাছ যেখানে আছে তাদের অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকিং করে রাখতে হয়। সাদা রস যেমন ক্রেতারা পছন্দ করেন না, তেমনই আমরাও বিক্রি করি না। তবে ক্রেতাদের অবশ্য এতে কোনও আপত্তি নেই কারণ তারা জানাচ্ছেন, নিজেরাই স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন একটি লেবু থেকে এক গ্লাস রসের বেশি পাওয়া যায় না। তার থেকে বেশি করতে গেলে তেতো হয়ে যায়। কাটতেও অনেক সময় লাগে। তাই দামের থেকেও পুষ্টিগুন অনেক মূল্যবান আমাদের কাছে। তাই এই সময় বাতাবিকে কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে চান না তারা।
Mainak Debnath