গঙ্গাজলঘাটি ঢোকার পরে, গঙ্গাজলঘাটি লক্ষণপুর রোড ধরে সোজা ১১ কিলোমিটার গেলেই রাজা মেলা গ্রাম। রাজা মেলা গ্রামের ভিতরেই রয়েছে একটি নাম না জানা অচেনা পাহাড়। পাহাড়টি বাইরে থেকে দেখলে আপনি ঠিক ঠাহর করতে পারবেন না, মনে হবে ছোট এক সবুজে গালিচায় ঢাকা টিলা। এই টিলাটির কাছে গেলেই দেখতে পাবেন এটি সুবিশাল দরজা। লেখা রয়েছে মা নাচন চণ্ডী পাহাড়। করা আছে সুন্দর সিঁড়ি, সেই সিঁড়ি দুপাশ দিয়ে আগলে রেখেছে ঘন জঙ্গল। দেখতে বেশ মায়াবী লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুন : বাঁকুড়ার মেয়েদের এই স্কুলের দেওয়ালেই রয়েছে যত রহস্য! স্কুলে যেতেই শিখে যায় কতকিছু
পাহাড়ের গায়ে রয়েছে দুটি মন্দির, একটি মা নাচন চণ্ডী এবং অপরটি নতুন তৈরি হওয়া বিষ্ণু মন্দির। এবার ধীরে ধীরে উপরে আসুন। দেখবেন পাহাড়ের উপরে যেন এক সমতল ছোট্ট ভ্যালি। তারপর রয়েছে একটি পাথরের ছোট্ট রাস্তা। মাত্র কয়েক ফুট উপরে উঠলেই পাহাড়ের চূড়া। পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে সুবিশাল পাথর। এই চূড়া থেকে দেখতে পাবেন দূর-দূরান্ত পর্যন্ত। আনন্দ নিতে পারবেন সূর্যাস্তের। বর্ষা যেন চারিদিক সেজে উঠেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির এক অন্যরূপ খুঁজে পাবেন।
আরও পড়ুন : মিনি অজন্তা ইলোরা, রয়েছে গুপ্ত গুহাও! অনেকেই জানেন না বাঁকুড়ার রহস্যময় গুহা
পাহাড়ের নীচে রয়েছে থাকা এবং খাওয়ার সুব্যবস্থা! মা নাচন চণ্ডী অতিথি নিবাসে। তাহলে আর দেরি কেন? ব্যাগপত্র নিয়ে চলে আসুন এই পাহাড় এবং গঙ্গাজলঘাটি ব্লকে। আপনার উইকেন্ডটা সেজে উঠবে বাঁকুড়ার মনসুন স্টাইলে। মনে পাবেন এক অজানা প্রশান্তি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





