একই সঙ্গে, এই সব ক্ষেত্রে টম্যাটোর বীজগুলো বাদ দিতেও অনেকে ভোলেন না। ব্যাপারটা এমন কিছু চোখে পড়ার মতো কিছু কিন্তু নয়। বিশেষ করে স্যালাড তৈরির সময়ে টম্যাটো থেকে বীজগুলো বাদ দিয়ে দেওয়াই রান্নার দস্তুর। আবার, রান্নায় দেওয়ার সময়ে অনেকে যেমন টম্যাটো থেকে বীজগুলো বাদ দিয়ে দেন, অনেকে তেমনই বীজসুদ্ধ রান্না করে ফেলেন- স্বাদের কোনও তারতম্যই এক্ষেত্রে ঘটে না। তাই যদি হবে, তবে কেন টম্যাটোর বীজ বাদ দেওয়া? টম্যাটোর বীজ কি আদতে বিষাক্ত (are tomato seeds toxic)? স্বাস্থ্য ভালো রাখতে তাহলে টম্যাটো না খাওয়াই কি ঠিক হবে?
advertisement
আরও পড়ুন : শুধুই কচুরির পুর বা আলুরদমের সজ্জা নয়, সব্জি হিসেবেও মটরশুটির গুণ অসামান্য
টম্যাটোর উপকারিতা
দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় এই সবজিতে রয়েছে লাইকোপেন (Lycopene) নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, প্রভূত পরিমাণে মিনারেল এবং ভিটামিন। ফলে টম্যাটো আমাদের হার্ট এবং কিডনি ভালো রাখে। রোজ পাতে টম্যাটো পড়লে ত্বক উজ্জ্বল হয়, শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ে।
আরও পড়ুন : রোজ সকালে খালি পেটে এই পানীয় পান করলে কমবে ওজন
টম্যাটোর যখন এত গুণ, দোষ কি কেবল বীজে?
ভিটামিন C আর ডায়েটারি ফাইবারে ঠাসা টম্যাটোর বীজ। ফলটার মতো বীজগুলোও কিন্তু ত্বক, হার্ট ভালো রাখতে কাজে আসে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তেমনই রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এতে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকায় তা খাবারের পুষ্টিগুণ শুষতে সাহায্য করে, শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
আরও পড়ুন : সদ্য কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন পরিবারের কেউ? স্পর্শকাতর সময়ে এভাবেই তাঁর পাশে থাকুন
তাহলে সমস্যাটা ঠিক কোথায়?
সমস্যাটা আদতে লুকিয়ে আছে টম্যাটো গাছে। এই গাছের পাতায় আর কাণ্ডে সোলানাইন (Solanine) নামের এক ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে। আমাদের শরীরের পক্ষে এটি কিছু পরিমাণে হলেও বিষাক্ত, বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে হজমের সমস্যায়, অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন। ফলে, এমন সমস্যা থাকলে কাঁচা টম্যাটো খাওয়া তো বাদ দিতে হবেই, সেই সঙ্গে রান্না করার সময়েও বীজ বাদ দিয়ে দিতে হবে। না হলে হার্টবার্নের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেবে হজমের সমস্যার হাত ধরে, সেই সঙ্গে শরীর আরও নানা ভাবে অস্বস্তিতে ভুগবে। যাঁদের এমন ধরনের কোনও সমস্যা নেই, তাঁরা রোজ টম্যাটো খেতেই পারেন!