আপেলের খোসায় থাকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ বলিয়া শহরের রাজকীয় আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের প্রভারি চিকিৎসক ডাঃ সুভাষ চন্দ্র যাদব জানান, আপেলের খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েডস-এর মতো উপকারী উপাদান থাকে। এইসব উপাদান শরীরে জমে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে, যার ফলে ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। আপেলের খোসায় থাকে পেকটিন নামের এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন: এইভাবে ধনে পাতা চাষ করলেই বাড়িতে ধনে পাতার অভাব হবে না! ২০ বছর বাজার থেকে কিনতে হবে না ধনে পাতা…
সুগার রোগীদের জন্যেও উপকারী প্রতিদিন আপেল খাওয়া শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে। এতে থাকে প্রাকৃতিক সুগার, যা ব্লাড সুগারের মাত্রা ব্যালান্স রাখতে সহায়ক। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই ফলটি খুবই উপকারী। পাশাপাশি, আপেল ভিটামিন C এবং A-তে ভরপুর, যা ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে।
আপেল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, আপেল কখনোই খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত নয়। ভালো করে ধুয়ে খোসাসহ খাওয়াটাই সঠিক উপায়, কারণ এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, খোসার ওপরে পেস্টিসাইড বা বিষাক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে—তাই ভালো করে ধুয়ে তবেই খাওয়া উচিত। সকালে খালি পেটে একটি আপেল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি শরীরে শক্তি দেয় এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
আরও পড়ুন: ভরপুর গুণে ভর্তি মাছের এই জিনিস! পুষ্টিতে ঠাসা, নিয়ম মেনে খেলেই কমবে ওজন, হার্ট থাকবে ফিট…!
সত্যিই কি আপেল ৩৬টি রোগ প্রতিরোধ করে? মানুষের মধ্যে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে আপেল ৩৬টি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। যদিও এই দাবির পেছনে বৈজ্ঞানিকভাবে পুরোপুরি প্রমাণ নেই, তবুও এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে আপেল নিয়মিত খেলে শরীর অনেক রোগের থেকে রক্ষা পায়। এটি শুধু শরীরকে সুস্থই রাখে না, বরং ত্বক, হজম এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।