সেই মাথা কে? তার খোঁজ করছে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশে খান্ডযায় জেলের শৌচাগারের পাশে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। এমনকি পুলিশ কনস্টেবল দুজনকে আঘাত করেছিল। সেই ঘটনায় আব্দুল কুরেশির দাদা সরাসরি যুক্ত ছিল বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, সাদ্দাম ও রাকিবের একটি গোপন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই খানে তৃতীয় এক বড় জঙ্গি মাথার আসার কথা ছিল। ওই গোপন বৈঠক মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গর বাইরে করার কথা ছিল। প্রথমে জানুয়ারি মাসে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তারপর ফের সেই গোপন বৈঠক পিছিয়ে জানুয়ারি মাসে হওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে এসটিএফ গ্রেফতার করে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দিদিকে নিয়ে সেই স্বপ্নটা দেখছেন উনি', দিলীপের নিশানায় অমর্ত্য সেন! কোন স্বপ্ন?
বৈঠকে, আইএস জঙ্গি সংগঠনে কার্যকলাপ প্ল্যান করার জন্য এই তৃতীয় মাথার জঙ্গির সঙ্গে দেখা করার প্ল্যান করেছিল কুরেশি। আব্দুল কুরেশি ২০১৯ সালে ছাড়া পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে জঙ্গি কার্য কলাপ প্রচারে সক্রিয় হয়ে ওঠে ধৃত জঙ্গি আব্দুল কুরেশি। আব্দুল কুরেশি বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টা, ২০১৪ সালে তালিবানি স্লোগান, ২০১৯ সালে অপর একটি মামলা সহ মোট তিনটি মামলা আব্দুল কুরেশির বিরুদ্ধে রয়েছে। মধ্য প্রদেশ থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশি মধ্যপ্রদেশে একটি দোকান রয়েছে নিজের। দোকানের আড়ালে রাকিব জঙ্গি কার্যকলাপ চালাত।
আরও পড়ুন: একযুগ পর উষ্ণ মকরস্নান, আসছে আবহাওয়ার বিরাট বদল! বৃষ্টি ভাসাবে এবার
রাকিব জঙ্গিদের ফিনান্স করতো, সংগঠনের প্ল্যানিং করত, টেরোরিস্টদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। আব্দুল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জঙ্গিদের ফিনান্স করতো, জঙ্গি সংগঠনের প্ল্যানিং করতো, টেরোরিস্টদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। এমনকি আর্মস থেকে শুরু করে, মোবাইল, চিপ,মানি ব্যাগ থেকে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে,পেন ড্রাইভ, জেহাদি লিটারেচার যা পাওয়া গিয়েছে তাতে, Govt of india বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী কার্য কলাপে লিপ্ত ছিল। টেরর এট্যাকের প্ল্যান ছিল।কুরেশির নোট বুকে থেকে জেহাদি চ্যানেল এর সঙ্গে যুক্ত প্রমান মিলেছে। যুবকদের মগজ ধোলাই করে নিয়ে স্লিপার সেল চালানোর প্রয়াস ছিল রাকিবের। পাশাপাশি হাওড়া থেকে ধৃত সাদ্দাম, সৈয়দদের থেকে হামলা করার পরিকল্পনার এলিমেন্ট পাওয়া যায়।ধৃত জঙ্গি সাদ্দাম সিরিয়াতে টেরোর ফান্ডে টাকা পাঠানোর চেষ্টা করছিলো। সেই জন্য অর্থ জোগাড় করার চেষ্টায় ছিল সাদ্দাম। খিদিরপুরে বৈঠকে আসার সময় এসটিএফ সাদ্দাম ও সৈয়দকে গ্রেপ্তার করে । এসটিএফ গোয়েন্দাদের দাবি, রাকিব ও রাকিবের দাদা জঙ্গি সংগঠন কার্য কলাপে সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি এসটিএফের।