রাজ্যের পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডাব্লুবিসিএস ক্যাডারের একাধিক অফিসার বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত থাকেন। কিন্তু পুরসভার কাজে সব সময়ের জন্যে তাদের পাওয়া সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় মিউনিসিপ্যাল ক্যাডার চালু করা হলে অনেক সুবিধা হবে। কারণ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, পুরসভার কাজে গতি আনতে এই সব ক্যাডারদের প্রয়োজন হবে।
পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সংক্রান্ত বিল পেশের আলোচনায় ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "বিরোধীদের এক এক জন প্রতিনিধি বিল নিয়ে এক এক রকম কথা বলছেন। কিন্তু প্রশাসন চালাতে গেলে আমাদের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। পুরসভা চালানোর ব্যবস্থা বদলে গেছে। এখন পরিকাঠামো প্রস্তুত করে কাজ চালাতে হয়। এখন আরবান পপুলেশন ৪০% হয়ে গেছে। ফলে পুরসভার দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি ক্লার্ক নয়। আমরা পলিসি মেকার৷ মানু্ষ ভোট দিয়েছে আমাকে পলিসি তৈরি করার জন্য। মিউনিসিপ্যাল কমিশনার প্ল্যান দেন। আমরা কারও ক্ষমতা খর্ব করছি না৷ "
advertisement
আরও পড়ুন : গঙ্গার বেহাল ঘাটে স্নান করতে এসে নিত্য দুর্ঘটনা, কাটল না সংস্কারপর্ব ঘিরে চাপানউতোর
তাঁর আরও সংযোজন, " আমলাতন্ত্র আবার কী? গোটা বিষয়টা স্বচ্ছতা বা অস্বচ্ছতা নয়৷ আসল বিষয় হল সকলের কাছে পৌঁছে দিতে হবে পরিষেবা। আমরা চেষ্টা করছি মিউনিসিপ্যাল ক্যাডার তৈরি করতে। যাতে সব পুরসভায় দেওয়া যায় এক্সকিউটিভ অফিসার। নির্বাচিত কাউন্সিলররাই থাকবেন সি আই সি৷ বাইরে থেকে কেউ আসবে না। সিআইসি কে হবেন সেটা চেয়ারম্যান ঠিক করবে। সুদীপ মুখোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়ক এখন। ওকে আমি আগে দেখেছি কংগ্রেসে, তৃণমূল কংগ্রেসে। ও এখন সারাক্ষণ আমাদের চোর, চোর, চোর ভাবে। তুমি দল বদল করলে কেন? ও দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর ছিল পুরুলিয়ায়৷ আজ যাঁরা আমার সমালোচনা করছেন, তাঁরা একটা সময় আমাকে বাহবা দিতেন। মাথায় স্বচ্ছতা আনো, দেখবে সব ভালো লাগবে৷"
আরও পড়ুন : ফুটপাতবাসীর মলিন চাটাইয়ে ছাতার আড়ালে আশ্রয় পথকুকুরদেরও, অজ্ঞাতপরিচয় গৃহহীনের মানবিকতায় মুগ্ধ নেটদুনিয়া
বিরোধীরা অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের এই উদ্যোগকে৷ যদিও রাজ্যের বক্তব্য, মিউনিসিপ্যাল ক্যাডার থাকলে কাজে গতি আসবে। এক্ষেত্রে ক্ষমতা খর্ব করার বিষয় কোথাও জড়িত নেই।