গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও ওএমআর জমা দিচ্ছে না কমিশন৷ তা নিয়েই আচার্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষকশিক্ষিকারা৷ এ বিষয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অবমাননার মামলা করেন বৈশাখী ভট্টাচার্য, নসরিন খাতুন, লক্ষ্মী তুঙ্গা৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতেও ছিল এই শুনানি৷
advertisement
হাইকোর্টের নির্দেশে যদি সুপ্রিম কোর্ট কোনও পরিবর্তন করে তবে আদালত অবমাননা মামলা সর্বোচ্চ আদালতে হওয়া উচিত। ওই রায়ের অনেক অংশ পরিবর্তন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এসএলপি অ্যাডমিট না হলে এখানে আদালত অবমাননার মামলা করা যেত। এসএলপি অ্যাডমিট হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের অনেক অংশ পরিবর্তন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা গ্রাহ্য নয়। তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অবমাননার মামলার ক্ষেত্রে কোনও অবস্থান জানাতে পারছে না। সওয়াল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী পার্থসারথী সেনগুপ্তে’র।
OMR প্রকাশের মতো নির্দেশ অমান্যকর মামলা সুপ্রিম কোর্ট শুনতে পারে। হাইকোর্ট নয়। তাই মামলা আদালতে গ্রাহ্য না হওয়ায় কোনও অবস্থান জানানোর সুযোগ নেই হাইকোর্টে। সওয়াল এসএসসি আইনজীবী সপ্তাংশু বোসে’র৷
অন্যদিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি দেবাংশু বসাক প্রশ্ন করেন, কোন আইনি যুক্তিবলে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টে? তিনি জানান, আদালত নির্দেশ অমান্যের প্রশ্নে সংবিধানের ২১৫ ধারা অনুযায়ী ক্ষমতা দেওয়া আছে হাইকোর্টকে।
এসএসসি আদালত অবমাননার মামলায় হাইকোর্ট কীভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে মূল মামলাকারীদের তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ২৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।
চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরতে কী পদক্ষেপ করেছে পর্ষদ? সেক্ষেত্রে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়ের এই অংশ বহাল রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ডিভিশন বেঞ্চ। জানানো হয়েছে, ‘‘মামলা আদালতে গ্রাহ্য না হওয়ায় আমরা কোনও অবস্থান জানাতে পারছি না।’’