কসবার ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতেরা এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে। কসবা আইন কলেজে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু কলেজ বন্ধ থাকায় পড়ুয়ারা যেতে পারছেন না। এই আবহে শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ল’ কলেজে এল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, এক ঘণ্টা চলল আলোচনা! সদুত্তর মিলল কি?
advertisement
প্রসঙ্গত, এই কলেজের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কলেজ পরিচালন সমিতিকে। তারাই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আপাতত কলেজ বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যেই কলেজের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে। কলেজ বন্ধ থাকলে পড়াশোনার ক্ষতি। পাশাপাশি, সিলেবাস শেষ করতে সময় লেগে যাবে। এই অবস্থায় ছাত্র ছাত্রীদের একাংশ চাইছেন দ্রুত কলেজে পঠন পাঠন চালু হোক।
এই বিষয়েই রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পঠনপাঠন প্রক্রিয়া চালু থাকার কথা। পরিচালন সমিতি, কী ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমাকে খোঁজ নিতে হবে। আশা করছি ছাত্র ছাত্রীরা দ্রুত, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন:আইনজীবী তকমা আর থাকল না, কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বার কাউন্সিলের
পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক দেব জানিয়েছেন, বৈঠকে সম্মিলিতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দ্রুত পরিচালন সমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ডঃ শিবরঞ্জন চ্যাটার্জি, পরিচালন সমিতির আরেক সদস্য বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্তের জন্য গোটা বিল্ডিং সিল করে রেখেছে। পাশাপাশি কলেজ ঘিরে এই পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেই আমরা ক্লাস শুরু করবো। পুলিশ বিল্ডিং ছেড়ে দিলেই ক্লাস শুরু করতে কোন সমস্যা নেই। তবে আগের দিনের বৈঠকে অনলাইন ক্লাসের বিষয় আলোচনা হয়েছে, শিক্ষক শিক্ষিকারা যদি অনলাইন ক্লাস নেন সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই আমাদের। বিকাশ ভবনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোন কথা আমাদের না জানানো হলেও, শিক্ষামন্ত্রী যদি কোন উপদেশ দেন, আমরা নিশ্চয়ই সেই মতো চলব।’’