সেই কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে আবারও কথা বলা হচ্ছে অশোক করের সঙ্গে৷ প্রসঙ্গত, অশোক কর নামে এই প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধেই রাজগঞ্জের বিডিও-র বাড়ির সোনা চুরির অভিযোগ ছিল৷ চুরি করা সেই সোনাই সল্টলেকের দত্তাবাদের স্বর্ণব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার দোকানে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ৷ চুরি যাওয়া সেই সোনা উদ্ধার করতেই স্বপনবাবুকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিডিও প্রশান্ত বর্মন এবং তাঁর লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ৷ যার জেরে মৃত্যু হয় ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর৷
advertisement
গোটা ঘটনায় বিডিও-র বাড়ির প্রাক্তন কর্মী অশোক করকেই মূল সাক্ষী হিসেবে হাতিয়ার করছে গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বাড়ির লকারে বিপুল পরিমাণ বেনামী সোনা ছিল৷ সেই কারণেই বাড়ি থেকে সোনা চুরি হলেও বিডিও প্রশান্ত বর্মন পুলিশে অভিযোগ না করে সোনা উদ্ধার করতে নিজেই হাতে আইন হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
এই বেনামী সোনার পুরোটাই বিডিও-র নাকি অন্য কারও তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা৷ অশোক করের বয়ান অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ বেনামী সোনা থেকে কিছুটা সরালে বিডিও তা বুঝতে পারবেন না বলেই ভেবেছিলেন অশোক কর৷ গোয়েন্দাদের ধারণা, বিপুল পরিমাণ বেনামী সোনা থাকার কারণেই পুলিশে অভিযোগ না জানিয়ে নিজেই তা উদ্ধারের চেষ্টায় নামেন বিডিও৷ আর তা করতে গিয়েই মারধর করার সময় মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যার৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল৷ বিডিও-র বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া সোনা ওই ব্যবসায়ীর কাছে তাঁর দত্তাবাদের দোকানে বিক্রি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷ সেই সোনা উদ্ধার করতেই ওই ব্যবসায়ীর খোঁজ শুরু করেন বিডিও৷ গত ২৮ অক্টোবর ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে তাঁর দত্তাবাদের দোকান থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে আসেন ওই বিডিও এবং তাঁর সঙ্গীরা৷
পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ছ জন মিলে ওই স্বর্ণব্যবসায়ীকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে মারধর করে৷ সেই মারধরের সময় মাথায় আঘাত লেগে স্বপন কামিল্যা নামে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়৷ এর পর বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নির্দেশেই ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর দেহ নিউ টাউনের যাত্রাগাছির খাল পাড়ে ফেলে আসা হয়৷ বিডিও-র নীলবাতি লাগানো সরকারি গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হয় দেহ৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ যদিও মূল অভিযুক্ত বিডিও প্রশান্ত বর্মন এখনও অধরা৷
