১৯৮৪ সালে কলকাতায় যখন প্রথম মেট্রো চালু করা হয়, তার আগে মস্কোতে নিয়ে গিয়ে মোটরম্যানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল । ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য় অবশ্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। তারপর সল্টলেকের মেট্রো লাইনে চলেছে প্রশিক্ষণ। যদিও ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর আধুনিক রেক চালিয়ে যাত্রীদের নিয়ে প্রথম ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো চালক হিসাবে নাম তুলেছিলেন শ্যামল চৌধুরী। এরকম একটা ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে বেশ খুশি অবশ্য আজ জয়দীপ বাবু। তাঁর কথায়, "কোনও টেনশন কাজ করছে না। উল্টে বেশ ভালোই লাগছে।" ঠিক ২১ মিনিটের মাথায় সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো নিয়ে গিয়ে চওড়া হাসি হাসলেন জয়দীপ ঘোষ।
advertisement
প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রায় হাজির ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে করপোরেশন বা কেএমআরসিএলের আধিকারিকরা। কেএমআরসিএলের আধিকারিকরা বলেন, "অনেকদিন ধরে এই প্রকল্পের সাথে জড়িয়ে আছি। আজকে যখন টিকিট কাউন্টারে এত মানুষের ভিড় দেখছি, তখন বেশ ভালো লাগছে।" এদিন সকাল থেকে অবশ্য চোখে পড়ার মতো আগ্রহ ছিল সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনেও। হাজির ছিলেন এমন এমন যাত্রী, যাদের সঙ্গে মেট্রো জড়িয়ে আছে ওতোপ্রোত ভাবে।২০০৯-এর ৯ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে মেট্রো চলা শুরু হয় । সেই সময় ওই মেট্রোর প্রথম দিনের যাত্রী ছিলেন রাজীব রায়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় দূষণের অন্যতম কারণ নির্মাণ কাজ, গবেষণায় উঠে এল এমন তথ্যই
সল্টলেকের বাসিন্দা রাজীববাবু দীর্ঘদিন কাজের জন্য দুবাইয়ে ছিলেন। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম দিনের যাত্রায় তিনি ছিলেন। আর বৃহস্পতিবার তিনিই ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ স্টেশনের যাত্রী, এদিন টোকেন হাতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, "পাড়া দিয়ে মেট্রো যাবে। ফলে মজা ও আনন্দ দুটোই হচ্ছে।"
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ প্রথম মহিলা যাত্রী সোমা দত্ত রায় যিনি টোকেন হাতে পেয়েছেন। প্রথম যাত্রায় ছিলেন তিথি হালদার, তিনি ১৯৮৪ -র ২৪ অক্টোবর প্রথম কলকাতা মেট্রোর সওয়ারি ছিলেন। তিনি বলেন, "কলকাতার দুই প্রান্তের মেট্রোতেই প্রথম দিনের যাত্রী হতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। তবে ১৯৮৪ সালে উদ্বোধনের দিন এত ভিড় হয়ে গিয়েছিল যে গেট বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এবার অবশ্য তা হয়নি।" মেট্রোয় বসে সহযাত্রীদের এই গল্পই শোনাচ্ছিলেন তিথি।