পার্কিং কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলেই বলেন, তাঁদের কোম্পানি জানে। তাদের কোম্পানির পার্কিংয়ের ঠিকা নেওয়া আছে। ‘দ্য সিটি কোঅপারেটিভ ফি কার পার্কিং সোসাইটি লিমিটেড’ নামে একটি পার্কিং সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। যেমন ফুলবাগানে রাস্তার ওপর গাড়ি পার্কিং করে ঘণ্টায় কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ তাঁদের পার্কিং স্লিপে কোনও কোম্পানির নাম লেখা নেই। টাকাটা কে নিচ্ছে? এর উত্তর নেই।
advertisement
তবে অনেকের অভিযোগ, এই অবৈধ পার্কিংয়ের পেছনে পুলিশের বড় অংশের মদত রয়েছে। যার কারণে রাস্তা ঘিরে দিনের পর দিন বাড়ছে গাড়ি পার্কিংয়ের চক্র। রাস্তার পাশে এই অবৈধ পার্কিং করার জন্য মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাতে প্রাণ পর্যন্ত যাচ্ছে। অভিযোগ, তবু প্রশাসনিক স্তরে কোনও হেলদোল নেই। সামান্য একটা স্লিপ ছাপিয়ে চলছে পার্কিং থেকে শুরু করে তোলাবাজির ব্যবসা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : যখন তখন মাথাযন্ত্রণা? পেইনকিলার নয়, সঙ্গী হোক এই ঘরোয়া টোটকাগুলি
কোম্পানির যে স্লিপ রয়েছে, সেই স্লিপে কোম্পানির নাম রয়েছে। কিন্তু ঠিকানা নেই। বেশ কিছু ড্রাইভার কন্ডাক্টর তো বললেনই, তাঁদের কোন চালান বা স্লিপ দেন না, পার্কিংওয়ালারা। নিমতলা ঘাটের এক পার্কিংকর্মী বললেন, পরিচিত গাড়ি। তাই তিনি স্লিপ দেন না। এখন প্রশ্ন হল, টাকাটা তবে যাচ্ছে কোথায় ? নিমতলা ঘাটে যিনি পার্কিং কর্মী, তিনি কোন কোম্পানির হয়ে পার্কিংয়ের টাকা তুলছেন? সেটাই বলতে পারলেন না।
আরও পড়ুন : খরায় জেগে উঠেছে ৩০ বছর আগে সলিল সমাধি হওয়া গ্রামের কঙ্কাল, ভৌতিক পরিবেশে ত্রস্ত মানুষ
আরও পড়ুন : ৩১ হাজার টাকা! মহার্ঘ্য আমের দামে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার যোগাড়
এই বিষয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ওই সমস্ত পার্কিং বেআইনি। যাঁরা ঠকছেন, তাদের তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করেন। বলেন, ‘‘স্লিপ কিংবা চালানে কোনও পার্কিং নেওয়া নিষিদ্ধ। পার্কিংয়ের টাকা নিতে গেলে কর্পোরেশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত ভেন্ডাররাই মেশিনের মাধ্যমে স্লিপ দিয়ে পার্কিং ফি নিতে পারবেন।’’