প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি বিহারে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছেন বুথ লেভেল অফিসারেরা৷ জল্পনা, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গেও একই ভাবে শুরু হতে পারে নতুন ভোটার তালিকা তৈরির কাজ৷ তার আগেই ভোটার লিস্টে নাম তোলা বা ট্রান্সফার সংক্রান্ত ডিক্লেরেশন ফর্ম নিয়ে এই ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
advertisement
বিহারের ভোটার লিস্ট প্রসঙ্গ তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘‘বিহারে আর তিন মাস ভোট বাকি। আসলে বাংলাকে টার্গেট করছে। বাংলার মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করছে। ওরা ভেবেছে আমরা ভয় পাব। কমিশন বলতে পারে না একেবারে নতুন ভোটার লিস্ট। এর আগে হরিয়ানার ভোটার দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছিল। ওরা ভেবেছে সবাইকে শ্রমিক। আসলে এর পেছনে বিজেপি। প্রচারকদের দিয়ে করানো হয়েছে৷’’
তৃণমূলনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যাঁরা প্রান্তিক মানুষ তাঁরা কী করে পাবেন মা-বাবার জন্ম সার্টিফিকেট? যাঁরা হকার বা প্রান্তিক কাজ করেন তারা পাবেন কী করে? সবাইয়ের পক্ষে তা সম্ভব নয়।’’ এরপরেই নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমি অনুরোধ করব ইসি’কে যথাযথ গাইডলাইন দিতে। যাতে মানুষের নাম অযথা বাদ না যায়। আসলে কি বাইরের লোক দিয়ে অনলাইনে রাজ্যে নাম বাড়ানোর ছক। আপনি হেরে যাচ্ছেন, তাই কি এই সব করা হচ্ছে? এটা NRC’র থেকেও বিপদজনক।’’
জনগণকে সতর্ক করে মমতার বার্তা, ‘‘সব জনগণকে বলব, দেখছেন তো ইসি কী করছে? আপনারা ভোটার লিস্টে নাম আছে সেটা দেখে চুপ করে থাকবেন না। শেষ অবধি দেখবেন।’’
আরও পড়ুন: রথযাত্রা ঘিরে লোকে লোকারণ্য…পৌঁছে গিয়েছেন মমতাও, বিশেষ দায়িত্বে রাজ্যের পাঁচ মন্ত্রী
মমতার অভিযোগ, ‘‘এটা গণতন্ত্রের জন্য খুব অ্যালার্মিং৷ এই কমিশনার আগে ছিল অমিত শাহের সেক্রেটারি। এখন তো দেশ চালায় অমিত শাহ। সাধারণ মানুষের বোঝার জন্য আমরা প্রচার করছি। যেখানে আটকাবে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে নামবে। দল রাস্তায় নামবে। আমি ব্যাটিং শুরু করেছি। অন্য রাজ্য বোলিং করবে৷ ’’
