অমানবিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রকম জ্বালানির দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গণবণ্টন বা রেশন ব্যবস্থায় কেরোসিন তেলের দাম বাড়াচ্ছে তাতে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। কেন্দ্রীয় সরকার ফেয়ার প্রাইস শপ বা গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে চাল, গম, ডাল, চিনি সহ নানা রকম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এবং কেরোসিন তেল গণবন্টন করে। গৃহীত নীতি অনুসারে গণবণ্টনে বন্টিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য দ্রব্যের উৎপাদন মূল্যের উপর কোন ট্যাক্স বা কর এবং লাভ না করে ভর্তুকি সহ গণবণ্টন ব্যবস্থার পরিষেবা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৭-৩০ মে সম্পূর্ণ বন্ধ ব্যান্ডেল স্টেশন, কোন পথে চলবে লোকাল-এক্সপ্রেস ট্রেন?
পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪৭৬ জন এজেন্ট, ৮৩০ জন বড়ো ডিলার, ২৯ হাজার কেরোসিন তেলের ডিলারের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ১০ কোটি মানুষকে এই গণবণ্টন পরিষেবা দেওয়া হয়। গত দুই বছরে কেরোসিন তেলের দাম অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় শহর থেকে গ্রাম বাংলার বহু প্রান্তিক মানুষ কেরোসিন তেল কিনতে পারছেন না। অন্যদিকে, রান্নার গ্যাসের দামও অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় অনেক গ্রাহকই উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা রিফিল করছেন না। পরিবার পিছু রান্নার গ্যাসের গড় বাৎসরিক ব্যবহারও তলানিতে। যার ফলে বাড়ছে চূড়ান্ত পরিবেশ দূষণ। শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষ বাধ্য হচ্ছে গাছপালা কেটে বনজ সম্পদ নষ্ট করতে। ফলে পরিবেশ দূষণ যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থতায় ভুগতে হচ্ছে সাধারণ গ্রামীণ মানুষকে। ভর্তুকির দাবি, তুলে তার প্রতিবাদে সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের সংসদে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানালেন কেরোসিন তেল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: 'শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কোথায়? সন্ধান চাই', পরেশ অধিকারীকে খুঁজতে এসএফআই-এর অভিনব প্রচার
বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত সাংবাদিকদের সামনে তথ্য তুলে দিয়ে জানান, বিগত দু' বছরের মধ্যেই আকাশছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে কেরোসিন তেলের। ২০২০ সালে যেখানে কলকাতায় কেরোসিন তেলের লিটার প্রতি দাম ছিল মাত্র কুড়ির মে মাসে ১৫.৭৩ টাকা। সেখানে আজ সেই দাম দাঁড়িয়েছে ৮২.৫৪ টাকা। তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় যে সমস্ত পরিবারকে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছিল আজ রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির জেরে সমস্ত উজালা যোজনার গ্যাসের ভান্ডার শুন্য হয়ে গেছে । তাই অবিলম্বে কেরোসিন তেলের উপর ভর্তুকি চালুর দাবিও তারা তুলেছেন।
এ ছাড়াও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সাহা জানান, "কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির জন্য সাধারণ মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ। নাভিশ্বাস উঠছে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সবারই। কেরোসিন তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির গ্রামের গরিব মানুষ গাছ কেটে কাঠ, ঘুটে, কয়লা ইত্যাদি দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানি ব্যবহার করছে ফলে বাড়ছে পরিবেশ দূষণও। মানুষের স্বার্থে অবিলম্বে কেন্দ্র সরকার যেন কেরোসিন তেলের উপর আবারও ভর্তুকি যাওয়ার ব্যবস্থা করে।"
AVIJIT CHANDA