পুলিশ জানিয়েছে, কোনও ভাবে জলে পড়ে গিয়েছিল ওই ছাত্রী৷ কিন্তু, সে নিজেই ঝাঁপ দিয়েছিল, বা পড়ে গিয়েছিল নাকি কেউ তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
ছাত্রীটির সহপাঠীদের একাংশ বলছে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে ‘রুহানিয়াত’ নামে একটি ফেস্ট চলছিল। সেই সময় কয়েকজন ঝিল পাড়ে বসে নেশা করছিল বলে জানা যাচ্ছে সেখানে মেয়েটি ছিল বলে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ দাবি করেছেন৷
advertisement
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, জলে পড়ে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সহপাঠীরা তুলেছিল। শরীরের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পরনের পোশাকেও কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি৷ স্পটের আশে পাশের ফুটেজ দেখা হচ্ছে৷ ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল পাশেই। তারই মধ্যে এই ঘটনা৷
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছি যে আজ আনুমানিক রাত সাড়ে দশটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কিং লটে যে অনুষ্ঠান চলছিল তার উল্টোদিকে ইউনিয়ন রুম সংলগ্ন পুকুরে ইংরেজি বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সম্ভবত তাঁর মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ রাত অব্দি চলা এই অনুষ্ঠানের অদূরেই চলছে একটি ছাত্র সংগঠনের অবস্থান কর্মসূচি। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আমরা শোকাহত এবং সেই ছাত্রীর পরিবার এবং বন্ধু বর্গকে সমবেদনা জানানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় সিসিটিভি এবং ক্যাম্পাসের অন্দরে পুলিশ আউট পোস্টের প্রয়োজনীয়তা। কেন দীর্ঘ রাত অব্দি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের অন্তরে অনুষ্ঠান চালানোর অনুমতি দিল এবং কিভাবে কর্তৃপক্ষের নজরদারি পেরিয়ে এত রাত অব্দি ক্যাম্পাসে মদ্যপান সহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে?
আমরা চাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভবিষ্যতে আর কোন প্রাণ যেন বে ঘরে না চলে যায় সেই ব্যবস্থা মানবিকতার খাতিরে এবার কর্তৃপক্ষ করুক।’’
আগামিকাল, শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্ট যে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে তাদের পরিদর্শনে আসার কথা। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সার্বিক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য তাদের আসার কথা আগামিকাল। যেখানে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিও থাকবেন। বিভিন্ন স্তরের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তার ১২ ঘণ্টা আগেই এই ঘটনা। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুপ্রিম কোর্ট এই ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গঠন করা হয় কারণ এনআইএআরএফ রেংকিংয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থান দখল করে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে।