ঠিক কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে উঠে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। ছাত্রীর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। ছাত্রীর বন্ধুরা জানিয়েছেন, ছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে। বন্ধুদের আরেকটা অংশ বলছে ছাত্রী আজ অত্যাধিক নেশা করেছিলেন। ভারসাম্য হারিয়ে পুকুরে পড়ে যান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন! এখন কোথায় নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি? জানা গেল ঠিকানা
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে জলে পড়ে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সহপাঠীরা তুলেছিল তাকে। শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। পরনের পোশাকেও কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। ঘটনাস্থলের আশপাশের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল পাশেই । তারই মধ্যে এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত, ‘রুহানিয়াত’ নামে একটি ফেস্ট ছিল কলেজে। সেই সময় কয়েকজন ঝিল পাড়ে বসে নেশা করছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানে মৃতা ছাত্রীও ছিল ছাত্রছাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন।
অন্যদিকে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল পুলিশের কাছেই স্পষ্ট নয় এখন৷ স্পষ্ট নয় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছেও৷ মৃতার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সহ উপাচার্য সবাই যাচ্ছেন ক্যাম্পাসে এখন। কিছুক্ষণ আগেই ছাত্রীটিকে ঝিলপাড়ে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়ার যায়৷ তারপর তাকে যাদবপুরের কেপিসি মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।