মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা । সীমান্তবর্তী এই ব্লকে বিকাল হতেই অন্য চেহারা নেয়। কোনও মতে গলাটা ঢুকিয়ে যা দেখা গেল তা দেখে চোখ ছানাবড়া। নানা আকারের থালায় সাজানো হরেক রকমের মাছ। রুই, কাতলা, ইলিশ, ট্যাংরা, পাবদা, কুচো চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, মৃগেল, পুঁটি, বেলে, কাজলি, রিঠা, খয়রা, রায়খয়রা, চাঁদা, ফাসা, বাচা, কাল বাউস, কাকলে, পিলপিলে আরও কত রকমের মাছ। কোনওটা লেজ ঝাপটাচ্ছে, কোনওটা খাবি খাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন-আর রক্ষে নেই…! কাঁপিয়ে আসছে ঝড়-তুফান! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ভাসাবে, পুজো কি তবে ভেস্তে যাবে?
পাল্লা-বাটখারায় মেপে নয়, থালায় সাজিয়ে মাছ বিক্রি হয় লালগোলা নেতাজি মোড়ে মীনভবনের সামনে, কৃষ্ণপুর-তেমাথা মোড়ে। বিকেল হলেই এ দৃশ্য চোখে পড়বেই। ভোর চারটেয় মাছ ধরতে বেরোন। দিনভর মাছ ধরে বিকালে নেতাজি মোড়ে মীনভবনের সামনে জড়ো হন। নৌকার খলুইয়ে মাছ এমন ভাবে রাখা হয় যাতে বিকালেও টাটকা থাকে। সেই মাছ থালায় সাজিয়ে রাত পর্যন্ত বিক্রি চলে। স্থানীয় কিছু যুবক সেই মাছ বিক্রি দায়িত্ব নেন। বিক্রি শেষে যা মেলে তার থেকে ‘কমিশন’ পান তাঁরা।
বর্তমানে ইলিশের দাম ১৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। নানা মাছের নানা দাম। কখনও দাম থালা পিছু পঞ্চাশ, দেড়শো। কখনও তা পাঁচশোতে গিয়েও ঠেকে। মাছ বিক্রেতাদের কথায়, ‘আড়ৎদারদের কাছে দাম পাই না। তাই বাজারে থালা সাজিয়ে বসি।’ যেমন দাম ওঠে সেই দামে বিক্রি হয়। অন্য দিকে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ক্রেতাদেরও লাভ। ক্রেতারা বলেন, বিকাল হলেই থালা নিয়ে টাটকা মাছের লোভে অনেকেই ভিড় করেন ওই বাজারে। মাছ কিছুটা সস্তায়ও মেলে।