এই ভাবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এই দায়বদ্ধতাই প্রকাশ পেল যে তারা কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে চায় এবং শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি করতে চায়। পরিদর্শনের পর, সর্বাধিক অনুমতিযোগ্য সেকশনাল স্পিডে সফল ভাবে একটি ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ট্রায়ালও সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ভাবে উন্নত অপারেশনের জন্য পরিকাঠামোটির প্রস্তুতি বোঝা গেল। এই প্রকল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আছে মজবুত পাওয়ার সাপ্লাই ইনস্টলেশন।
advertisement
আরও পড়ুন: তুলতুল করবে রুটি, একদম তুলতুল! আটা মাখার সময় একটি জিনিস মাথায় রাখলেই পাতে পড়বে নরম রুটি
যা বালিপাড়া ও গহপুরে ট্র্যাকশন সাব-স্টেশন থেকে অবিরত শক্তির উৎস নিশ্চিত করবে। সুরক্ষা বর্ধনের দিকটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন, ১৩০টি লেভেল ক্রসিংয়ে এখন হাইট গজ লাগানো আছে ওভারহেড ইকুইপমেন্ট (ওএইচই)-কে রক্ষা করার জন্য। সেই সঙ্গে, সিগন্যালিং ও টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থাকেও উন্নীত করা হয়েছে। যেমন, সমস্ত স্টেশন ও সুইচিং স্টেশনে এখন টিপিসি যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে দু’টি ওএইচই কাম পিএসআই মেন্টেনেন্স ডিপো ও একটি টাওয়ার ওয়াগন শেড স্থাপন করে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাকে মজবুত করা হয়েছে। যা আরও নিশ্চিত করবে যে সমস্ত অপারেশন মসৃণ ভাবে হবে।
২০ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৩৩৬০ রুট কিলোমিটার (আরকেএম)-এ বৈদ্যুতিকীকরণ করেছে। তার মানে এই রেলওয়ের মোট ৪২৬০ আরকেএম নেটওয়ার্কের ৭৯ শতাংশ। উল্লেখযোগ্য এই অগ্রগতি ভারতীয় রেলের একটি লক্ষ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই হয়েছে। লক্ষ্যটি হল, ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ ও কার্বন নির্গমনের মাত্রাকে পুরোপুরি শূন্যে নামিয়ে আনা। বিভিন্ন ডিভিশন মিলিয়ে ১৮০৬ আরকেএম-এ বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ করে অসম এগিয়ে আছে। তার পরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ-৯৩৬ আরকেএম; বিহার-৩১৯ আরকেএম; ও ত্রিপুরা-২৬৯ আরকেএম, এবং অরুণাচল প্রদেশ-১১ আরকেএম।
আরও পড়ুন: মৃত্যুই যেন লেখা ছিল! ট্রেন এল ২ নম্বরে, প্রাণ বাঁচাতে সেই লাইনেই ঝাঁপ মহিলার! লেকটাউনে ভয়াবহ মৃত্যু
পূর্ববর্তী অর্থ বছর ২০২৩-২৪’এ ৯২১ আরকেএম-এর বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছিল এবং বর্তমান অর্থবছর ২০২৪-২৫’এ (২০ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত) ৭৭৭ আরকেএম-এর বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে।বৈদ্যুতিকীকরণের এইসব উদ্যোগ থেকে অগণন উপকারিতা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমবে, কার্বন নির্গমন হ্রাস করা যাবে, এবং আরও কার্যকর ভাবে ট্রেন চলাচল করানো যাবে। এইসব উন্নতি বিধানের কাজগুলিকে বাস্তবায়িত করার মাধ্যমে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আধুনিক ও স্থির রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে রেল নেটওয়ার্ককে আরও বেশি করে পরিবেশ অনুকূল ও কার্যকর করার জন্য তারা দায়বদ্ধ।
আবীর ঘোষাল