করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যাঁরা সফর করছিলেন তাঁরা অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কেউ কর্মসূত্রে, কেউ বা চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা কেউ আমাদের ভাই, বোন, বন্ধু, পরিজন। তাই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিজেদের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিও’।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়জনকে হারালেন যশ-নুসরত! আবার দেখা হবে, প্রার্থনা শোকে পাথর বাবা-মায়ের
advertisement
আরও পড়ুনঃ কালীঘাটের বিয়েবাড়িতে মায়ের কোল থেকে শিশু চুরি! অবাক করা পদ্ধতি, সাবধান হন আজই
দীর্ঘ প্রেস বিবৃতিতে রাজ্য বিজেপি আরও জানিয়েছে, ২ জুন, ঘটনার পরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তত্বাবধানে রাজ্য বিজেপির একটি টিম রাত ১১ টার সময় ১০টি অ্যাম্বুলল্যান্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ভোর ৪টে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন ও আহতদের বাহানগর বাজার রেলওয়ে স্টেশনে সাহায্য করেন এবং আহতরা যে সকল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই হাসপাতালগুলিতেও যান সকাল পর্যন্ত।
বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম এবং হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হপ্যেছে বিজেপির তরফে। রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার প্রতিটি আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন এবং যা যা সাহায্য করা সম্ভব সেগুলি করেন। রাজ্য যুবমোর্চা সভাপতি ডাঃ ইন্দ্রনীল খান হাওড়া স্টেশনে আগত ও আহত যাত্রীদের সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেন। বিজেপি বিধায়কগণ দুর্ঘটনায় আহত বা মৃতদের পরিবারে যাচ্ছেন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ সুভাষ সরকার দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসপাতাল ও দুর্ঘটনাস্থল পরিদরশন করেন। সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ খড়গপুর রেলওয়ে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সাংসদ তহবিলের অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান দুর্ঘটনাস্থলে। পাশাপাশি ওড়িশায় আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির তরফে।
Venkateswar Lahiri