এর পাশাপাশি স্কুলগুলির ফি সংক্রান্ত বিষয়ক বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তারই সঙ্গে স্কুলগুলোর ফি সংগ্রহের বিভিন্ন রিসিভ এবং রেজিস্ট্রার ও চাওয়া হয়েছে। সাধারণত স্কুলগুলিতে অডিটের ক্ষেত্রে তথ্য চাইলেও নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থার তরফে কেন চাওয়া হল তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। আধিকারিকদের একাংশের যুক্তি এইভাবে সাল ধরে ধরে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ার ঘটনা ব্যতিক্রমী। মূলত ২০০টি স্কুলের নাম উল্লেখ করে কবে কবে অডিট সংক্রান্ত তথ্য যাওয়া হবে তার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অডিট সংক্রান্ত কাজ হবে বলেও বারাসাতের স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক কে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- উদ্বেগজনক বারাণসীর বন্যা পরিস্থিতি! লাইফ জ্যাকেট পরে ভেলায় চেপে জলে নামলেন যোগী!
আরও পড়ুন- প্রয়াত কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গান্ধির মা! শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ইতালিতেই
ইতিমধ্যেই অডিটের কাজ ও শুরু করেছে কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থা। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য নজরে ছিল না স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ও বলে সূত্রের খবর। নজরে আসতে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক এর থেকেও গোটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর সেই রিপোর্টও ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছেন বারাসাতের স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের আরো একটি জেলাতেও কেন্দ্রীয় এই অডিট সংস্থা চিঠি পাঠিয়েছে বলেই জানা গেছে। যদিও কেন এই ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে আর কোন জেলাতে এই ধরনের চিঠি কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থা চিঠি পাঠিয়েছে বলে কোন খবর নেই বলেই দাবি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের।
কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থার চিঠিতে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুলের যাবতীয় নিয়োগ নিয়েই তথ্য চাওয়া হয়েছে। কারণ বারাসাতের স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শক কে পাঠানো চিঠিতে সব স্তরের স্কুলে উল্লেখ করা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করেই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকেরও। তবে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের ডি আই অফিসে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। গতকালই ইনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টর এর তরফে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১১ সালের পর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। যার দরুন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতি মন্ত্রী প্রতিটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। এরপরেই কেন্দ্রীয় অডিট সংস্থার এই রিপোর্ট চাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।