কলকাতা পুরভোটের (KMC) বিজ্ঞপ্তি খারিজ চেয়ে শুরুতেই তীক্ষ্ণ সওয়াল করেন বিজেপি-র আইনজীবী। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এক বলছে, আর কাজ করছে অন্য কিছু। এর আগেও একাধিক পুরভোট মামলায় বার বার হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত পুরভোট করার। নির্বাচন পরিচলনার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে কমিশন নয়। রাজ্যের শাসকদলের সুবিধার জন্য শুধু কলকাতা পুরভোট ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতে দেওয়া বক্তব্যের স্ববিরোধীতা করেছে কমিশন, জনস্বার্থ মামলাকারী তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ, বিল্বদল ভট্টাচার্য।
advertisement
এর পরেই প্রধান বিচারপতি কমিশনের কাছে জানতে চান, নূন্যতম কত দফায় রাজ্যের ১১১টি পুরভোট করতে চাইছে কমিশন? কত ইভিএম কমিশনের কাছে আছে তা তারা জানে, সেই ইভিএম দিয়ে নূন্যতম কত দফায় ভোট হতে পারে? কমিশন উত্তরে জানায়, কলকাতা পুরভোট শেষের পর কমিশন জানাতে পারবে নূন্যতম কত দফায় ভোট ১১১ পুরসভায় করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশীষ কুমার গরীবের মসিহা,জনগণের বন্ধু
কেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে জানাতে পারছে না কমিশন? আর কত সময় নেবে কমিশন সব পুরভোট শেষ করতে? সাংবিধানিক স্বতন্ত্র সংস্থা হয়ে কমিশনের দায়িত্ব নয় নির্ধারিত সময়ে ভোট করা? এর পরেই এমনই সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। প্রধান বিচারপতি আরও মন্তব্য করেন, সব পুরভোট একসঙ্গে করতে প্রয়োজনের অর্ধেকের বেশি ইভিএম রয়েছে কমিশনের কাছে। তা হলে কমিশন কেন বলতে পারবে না নূন্যতম কত দফায় ভোট করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশীষ কুমার গরীবের মসিহা,জনগণের বন্ধু
প্রধান বিচারপতি কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্রের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, "কমিশন হলফনামায় জানাচ্ছে একসঙ্গে ১১২ পুরসভা ভোটের জন্য ৩০১৭৩ ইভিএম প্রয়োজন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে কার্যকরী ১৫৬৮৭ ইভিএম রয়েছে। যা অর্ধেকের বেশি। M2 ইভিএম ৭৮৫১, M1 ইভিএম ৭৮৩৬ আছে। এই ইভিএম দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভার নূন্যতম ২ দফায় ভোট করা সম্ভব হবে না কেন? কমিশন কি মনে করেনা এখনই পুরভোট করা দরকার? যদি মনে করে করা দরকার, প্রশ্ন হল কবে, কখন ভোট হবে?"
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৪, মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা
অ্যাটর্নি জেনারেল এসএন মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, "ইভিএম, ভোটকর্মী, পরিকাঠামো আর টিকাদানের হার, এই চারটি জিনিস মাথায় রেখে আমাদের ভোট করাতে হচ্ছে। আমরা কমিশনকে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন করানোর সময় সীমা আমাদের আছে।বিভিন্ন পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে আমাদের ভোট করতে হবে। প্রতিটি পুরসভা স্বতন্ত্র। সবার মেয়াদও এক সঙ্গে শেষ হয়নি। এটা বিধানসভা নির্বাচন নয় যে সব ভোট এক সঙ্গে করে একসাথে ফল ঘোষণা করতে হবে। সব পুরভোট একসঙ্গে করার কোনও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নেই।"
অর্ণব হাজরা