TRENDING:

Teacher Recruitment: একসঙ্গে ১৭৫৯ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বীরভূমে, এমন 'স্বচ্ছতা' নজিরবিহীন দাবি সংসদ কর্তার

Last Updated:

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে যারা প্রধান শিক্ষক হতে রাজি তাঁদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। চাকরির সিনিয়ারিটি অনুযায়ী জেলার ৩২টি চক্রের সব স্কুলে সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিতর্কের মধ্যেই এবার খুশির খবর। বীরভূমে একসঙ্গে ১৭৫৯ জন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হল। সকলেই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
 ক্যামেরার সামনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া
ক্যামেরার সামনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া
advertisement

জায়ান্ট স্ক্রিন টাঙিয়ে ভিডিওগ্রাফি করে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে বীরভূমে। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যাতে কোন‌ওরকম সংশয় না থাকে তাই এমন পদক্ষেপ। এই দেখে সন্তুষ্ট চাকরিপ্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক জানান, এমন স্বচ্ছতার সঙ্গে একসঙ্গে প্রায় ৭৫০ জন প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি রাজ্যে এই প্রথম। নিজের পছন্দমত স্কুলে প্রধান শিক্ষকতার দায়িত্ব পেয়ে খুশি শিক্ষকরাও। তাঁদের কথায়, এই প্রথম যোগ্যতার ক্রমের ভিত্তিতে কোনও রং না দেখে পদোন্নতি হল।

advertisement

আরও পড়ুন: মুখোমুখি অটোকে ধাক্কা ডাম্পারের, বরাত জোরে প্রাণে বাঁচল আট যাত্রী

প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে যেখানে বিতর্ক, দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলছে, সেখানে এমন নিয়োগ রাজ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। বীরভূমের ২৪০১ টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ১৭৫৯ টি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের দিয়েই গত দশ বছর ধরে স্কুল চলছিল। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক কাজকর্ম অনেকটাই ব্যাহত হচ্ছিল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৪ সালের পরে আর প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়নি। কমপক্ষে ২০ টি মামলা ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে নিয়ে। নানান প্রশ্ন তুলে আটকে রাখা হয়েছিল পদোন্নতি। ২০১৯ সালে সংসদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে একে একে সব মামলা খারিজ করান প্রলয় নায়েক।

advertisement

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে যারা প্রধান শিক্ষক হতে রাজি তাঁদের আবেদন করতে বলা হয়েছিল। চাকরির সিনিয়ারিটি অনুযায়ী জেলার ৩২টি চক্রের সব স্কুলে সেই তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। কানাইপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক বুদ্ধদেব দাস জানান, সাতদিন আগেই আমাদের ক্রম তালিকা ও প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকা স্কুলের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই মত প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বুধবার থেকে শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি প্রক্রিয়া শুরু হয় সিউড়ির বিদ্যাসাগর ভবনে। সিউড়ি পশ্চিম চক্র ও মুরারইয়ের পাইকর চক্রের নিয়োগ হয়েছে। পাইকরে ৫৯ টি ও সিউড়ি চক্রে ৪৪ টি প্রধান শিক্ষকের পদ খালি ছিল। জায়ান্ট স্ক্রিনে সেই সব শূন্য পদের স্কুলের নাম জ্বলজ্বল করছিল। ক্রমান্বয়ে এক একজন স্কুল পছন্দ করছেন, তাঁকে সেখানেই নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র পেলেই সেই স্কুলের নাম মুছে গিয়েছে তালিকা থেকে। এই প্রক্রিয়াতে স্বচ্ছতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি হয়েছে বলে জেলা শিক্ষা সংসদ কর্তাদের দাবি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/চাকরি/
Teacher Recruitment: একসঙ্গে ১৭৫৯ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বীরভূমে, এমন 'স্বচ্ছতা' নজিরবিহীন দাবি সংসদ কর্তার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল