আরও পড়ুন: দক্ষিণ দিনাজপুরের সব গ্রামে বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ, তৈরি হবে জৈব সার
জমিদারপাড়া গ্রামে এসেই যেন বার বার শেষ হয়ে যায় পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের উন্নয়নের অর্থ। অন্তত উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকারের কথাতে এমনটাই মনে হতে পারে। জমিদারপাড়া থেকে শহরের যে কোনও স্থানে যেতে গেলে পার হতে হয় একটি বড় খাল। এই গ্রামে কয়েকশো পরিবারের বসবাস। অথচ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেই খালের উপর গ্রামবাসীরা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছেন।
advertisement
এবারেও বর্ষা আসার আগে বাঁশের সাঁকো তৈরির কাজ সেরে ফেলেছে গ্রামের মানুষ। এই গ্রামেরই ছাত্র যুবরাজ রায় বলেন, বর্ষা আসলেই ভয় হয়। এই খাল পেরিয়েই যেতে হয় স্কুল, কলেজে। জল বেশি হলে ভয়ে পার হতে বুক কেঁপে উঠে। এদিকে উপপ্রধান বেনুরঞ্জন সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই সেতুটা হচ্ছে না, গ্রামবাসীদের ক্ষোভ তো থাকবেই। এর জন্য চল্লিশ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এতো অর্থ নেই আমাদের কাছে।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে চিন্তা বেড়েছে শাসকদলের। জমিদারপাড়ার এক বৃদ্ধা বলেন, অনেক দিন থেকেই এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে ভরা বর্ষায় যেতে হয়। অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও কারোর কোনও হুঁশ নেই। ভোটের সময় সবাই খালি ভোট চাইতে আসে। এবার আমরাও আমাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেব।
সুরজিৎ দে