কিন্তু কালের পরিক্রমায় অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, ম্যালামাইন, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজার দখল ও রমরমা বাণিজ্যের কারণে খানিক ক্রেতা সংকটে পড়েছে এই ঐহিত্যবাহী কারুশিল্প। তবে তবুও থেমে নেই বেতের শিল্পীরা। সেই বেতের সরঞ্জাম তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শহর জলপাইগুড়ির শিপ্লীরা। কারণ, শৌখিন মানুষদের কাছে বেতের আসবাবপত্রের চাহিদা এখনও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ডুয়ার্সে হাতির হামলা চলছেই! দাঁতালের আক্রমণে মৃত দুই
advertisement
৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের দুপাশের ধরে দেখা যাচ্ছে মেলা বসেছে বেতের শিল্পীদের। তারা সেখানে বিভিন্ন ধরনের বেতে আবাসনের সরঞ্জাম তৈরি করছে আর বসে আছে ক্রেতার অপেক্ষায়। সোফাসেট, খাট, মোড়া, দোলনা, ড্রেসিং টেবিল, ইজি চেয়ার, রকিং চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের পসরা সাজানো সেখানে। তবে একটু একটু করে হলেও ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে জলপাইগুড়ির বেতশিল্পরা । কারণ, আগে এই এলাকায় বেতের আসবাবপত্রের চাহিদা ছিলো প্রচুর।
আরও পড়ুনঃ ধুলোর চাদরে মোড়া শালবাড়ির রাস্তা, কবে হবে সংস্কার! অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ
কিন্তু করোনার কারণে, কাজ হারিয়ে কেউ চলে গিয়েছে ভিন রাজ্য অন্য কাজের খোঁজে, কেউবা সামলাচ্ছে বাপ ঠাকুরদার অন্য ব্যবসার দোকান। আগে বেতের সরঞ্জাম তৈরি হতো জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্থানে,দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রফতানি হতো বিদেশেও । সে শিল্প এখন ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। কারিগররা পেশা বদল করেছেন। বেতের তৈরি সরঞ্জামের বদলে বাজার দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিকের সরঞ্জাম। স্বল্প দামে প্লাস্টিকের জিনিস কিনছে ক্রেতরা,তাতেই বেতের আসবাবের কদর কমছে।
Surajit Dey