আরও পড়ুন: ‘ভোট দিয়ে কী লাভ?’ রাস্তা পাকা না হওয়ায় প্রশ্ন তুলে পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক
ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার গ্রামে বাড়ি দোলন, হৈমন্তী ও তমালিকার। তাঁদের পদবী রায়। তিন বোনই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের যোগব্যায়াম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছে। অথচ পরিবারের আর্থিক অবস্থা মোটেও ভাল নয়। বাবা টোটো চালান। মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরনো অবস্থা। কিন্তু তাতেও স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি এই তিন বোন।
advertisement
দোলন, হৈমন্তী ও তমালিকার যাত্রাপথটা অবশ্য মা-বাবার হাত ধরেই শুরু। খুব ছোটবেলায় বাড়িতেই তাঁদের যোগাসন শিক্ষা শুরু হয়। একসময় এই যোগাসনই তাঁদের ভালোলাগায় পরিণত হয়। এরপর আরও ভালোভাবে যোগাসন রপ্ত করে একের পর এক সাফল্য অর্জন করেন। সবচেয়ে বেশি সুনাম অর্জন করেছেন হৈমন্তী রায়। ২০২২ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক যোগা চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। শুধুই যোগাসনই নয়, পড়াশোনাতেও পিছিয়ে নেই হৈমন্তী। সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে তিনি তৃতীয়বর্ষে পাঠরত। পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপিতেও সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন। আরেক বোন তমালিকা রায় সদ্য কলেজে উঠেছেন। যোগাসনের পাশাপাশি কিক বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি। নিজেরা যোগাসনে সাফল্য পাওয়ার পাশাপাশি গ্রামের বাকি কচিকাঁচাদেরও যোগে আকৃষ্ট করেছে এই তিন বোন। বিনামূল্যেই বাড়িতে যোগাসনের প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা। তিন বোনকে দেখে গ্রামের বাকি ছেলেমেয়েরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে, তারাও আগামী দিনে যোগাসনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে ছাপ রেখে আসবে।
সুরজিৎ দে